শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ফণী তাণ্ডবে তছনছ নোয়াখালী, বঙ্গোপসাগর উপকূলে জলোচ্ছ্বাস

ফণী তাণ্ডবে তছনছ নোয়াখালী, বঙ্গোপসাগর উপকূলে জলোচ্ছ্বাস

মতিহার বার্তা ডেস্ক : ভারতের ওড়িশাকে লণ্ডভণ্ড করে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে তাণ্ডব চালিয়েছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ শুক্রবার মাঝ রাত পেরিয়ে এই ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয় নোয়াখালী এলাকায়৷ শতাধিক বাড়ি ঘর ধসে পড়েছে৷ বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন৷ তবে আগে থেকে সতর্কতা নেওয়ায় বিপুল মৃত্যু এড়ানো গিয়েছে৷ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন তার শক্তি হারিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে সরে যাচ্ছে৷ তবে এর প্রভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে শনি ও রবি বৃষ্টিপাত হবে৷ সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনী বিশেষ তল্লাশি চালাচ্ছে৷ বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা জুড়ে ঝড়ের তাণ্ডব বেশি৷ তবে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচর৷

শুক্রবার রাতে নোয়াখালী জুড়ে শুরু হয় প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি৷ গভীর রাতে হঠাৎ সুবর্ণচর ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়ায় বিধ্বস্ত হয় দুটি উপজেলার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। এই সময় চর আমানউল্যা এলাকায় একটি ঘর ভেঙে পড়লে মায়ের কোলে থাকা শিশু নিহত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন৷

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৪ মে ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply