শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
বঙ্গবন্ধু টানেলকে ঘিরে শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন

বঙ্গবন্ধু টানেলকে ঘিরে শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন

মতিহার বার্তা ডেস্ক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকার সঙ্গে নদীর অন্য তীরের আনোয়ারা উপজেলাকে সড়কপথে যুক্ত হবে। এ টানেল চালু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পাশাপাশি কর্ণফুলীর দুই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে।

এরইমধ্যে এই প্রকল্পের ৩২ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদীর তলদেশে টানেল খননের জন্য চীন থেকে আনা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে। এ ধরণের উন্নয়ন কাজ বাংলাদেশে এবারই প্রথম। ‘কন্সট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ প্রকল্পের আওতায় এটি নির্মিত হচ্ছে।
টানেলের প্রকৌশলীরা বলছেন, নদীর এই প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের খননে সময় লাগবে দুই বছর। খননের পর মাটি সরিয়ে বসানো হবে সিমেন্টের তৈরি সেগমেন্ট; সেগুলো চীন থেকে এরই মধ্যে পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় পৌঁছেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি মাসে কাজের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ শতাংশ, আমরা করছি ৩০ শতাংশ। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী ২০২২ সালেই এই টানেল দিয়ে গাড়ি চলবে।
টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর ওপারে বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর ওপারে আংশিক চালু রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। এর পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। টানেল নির্মাণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার আনোয়ারার একটি ইকোনমিক জোন স্থাপন করছে। এর পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ‘চায়না ইকোনমিক জোন’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুধু তাই নয়; বঙ্গোপসাগর উপকূল ঘিরে পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে ও ব্যাপক রাজস্ব আয় বাড়বে এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এসব এলাকা ঘিরে পর্যটন, শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হবে। নদীর ওপারে ভারী শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি এশিয়ান হাইওয়ে ও নতুন সিল্ক রুটে প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে অর্থনৈতিক করিডোর।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ মে, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply