শিরোনাম :
কাঠবাদাম খেলে কি সত্যি ওজন কমে? কী এমন আছে তাতে? আফ্রিদির বিয়েতে জল্পনা উড়িয়ে বাবর ১০০ কোটি বছরেও শেষ হবে না মহাকাশের ‘মদের ভান্ডার’! স্বাদে গন্ধে কেমন সেই ‘মহাজাগতিক সুরা’? ‘বার বার বিবাহিত পুরুষদের প্রেমে পড়েছি’, বিয়ে না করার কারণ খোলসা করলেন সাবিত্রী মাটি থেকে ১০০ ফুট উপরে ঘুড়ির সুতো ধরে পত পত করে উড়ছেন যুবক! রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অক্টোবরে যাবেন চিন সফরে, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক সমঝোতা ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’-এর আগেই দুই খান-শিবিরে আগুন! হাতাহাতি থামাতে ডাক পড়ল পুলিশের কোমর থেকে খুলে যাচ্ছে শাড়ি, অম্বানীদের গণেশ পুজোয় দিশার এমন সাজ দেখে বিরক্ত অনেকে রাবিতে জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের গণ জমায়েত যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং শিশুবান্ধব আদালত পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ
মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করল গণধর্ষণ মামলার আসামি

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করল গণধর্ষণ মামলার আসামি

মতিহার বার্তা ডেস্ক : কুমিল্লার হোমনায় গণধর্ষণের এক মামলার আসামি সুমন সরকার (২৯)। এবার তার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী। এ ঘটনায় রোববার থানায় মামলা হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে মামলা প্রত্যাহার করতে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলা সদরের একটি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত শুক্রবার সকালে বাবার জন্য জমিতে খাবার নিয়ে গিয়েছিল সে।

বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের মো. রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে সুমন সরকার তাকে ভংগারচর গ্রামের রজ্জব আলী মাস্টারের কাঠ বাগানের কাছে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। মেয়েটি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় রোববার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষক সুমনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় গত ২০১৭ সালে একটি গণধর্ষণ, ২০১৩, ১৭ ও ১৮ সালে তিনটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সালে তিনটি মারামারির মামলা রয়েছে। সে সম্প্রতি জামিনে এসে গত শুক্রবার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী অবিলম্বে ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার দাবি করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, মামলা করার পর থেকে সুমন ও তার লোকজন আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

স্থানীয় মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিরুল হক ভূঁইয়া জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবে মানতে পারি না, সুমনকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

হোমনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও গণধর্ষণ, মাদকসহ নানা অভিযোগে থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৬   মে ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply