আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শনিবার রাশিয়ায় সে দেশের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ডুবোজাহাজ দেখেন কিম। সূত্রের খবর, ছ’দিনের রাশিয়া সফর সেরে রবিবার উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কিম।
রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী করতে সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-র প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার কিমের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর।
ওই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তব সমস্যাগুলি নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়। তার ভিত্তিতেই দুই দেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে সহমত হয়েছে। শনিবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, বোমারু বিমান, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ডুবোজাহাজ দেখেন কিম। সূত্রের খবর, ছ’দিনের রাশিয়া সফর সেরে রবিবার উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কিম।
গোড়া থেকে কিমের এই রাশিয়া সফরকে কড়া নজরে রেখেছে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবারই হুঁশিয়ারির সুরে আমেরিকা জানিয়েছে, অস্ত্রসাহায্যের কথা বলে উত্তর কোরিয়ার উপর রাষ্ট্রপুঞ্জের যে নিষেধাজ্ঞা, তা ভঙ্গ করছে রাশিয়া।
সচরাচর বিদেশ সফরে বেরোন না কিম। কোভিড অতিমারির পর প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়ে পুতিনের দেশকেই বেছে নিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা যায়, ব্যক্তিগত বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চেপে পূর্ব রাশিয়ার খাসানে পৌঁছন কিম। সেখান থেকে সড়কপথে যান ব্লাডিভস্তকে। ব্লাডিভস্তক থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে, উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র কসমোড্রোমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানান যে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষায় আধিপত্যকামী শক্তির বিরুদ্ধে যে ‘পবিত্র লড়াই’ করছে রাশিয়া, তাকে সমর্থন করছে উত্তর কোরিয়া।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.