সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁরের কারণে ৩ শুল্কস্টেশনের শতশত ব্যবসায়ীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য। প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (১৭ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টার পর থেকে আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্ভর) ভোর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে জেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রায় দেড় হাজার মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথরসহ বিপুল পরিমান চিনি, বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক ইউপি সদস্য রাশিদ মিয়া, ধন মিয়া, ফজলু সরর্দার ও আবুল বাশার খান নয়নসহ অনেকে বলেন- তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ তরফতার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ও কয়লাসহ যাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে ছিলেন, সেই আসামীদেরকে সোর্স বানিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সহযোগী নেকবর আলী প্রায় ২বছর যাবত অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করে নিজেরা ব্যবসা করছে, আবার পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নামে পাচাঁরকৃত প্রতিনৌকা থেকে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে। তারা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি কিন্তু এসব দেখার কেউ নাই।
এই সীমান্তের বাসিন্দা আলী হোসেন, বাবুল মিয়া, মানিক মিয়া ও রফিক মিয়াসহ অনেকেই বলেন- তোতলা আজাদ একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, মোক্তার মহলদার, আক্কাছ মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, আইনাল মিয়া, লেংড়া জামাল, আনোয়ার হোসেন বাবলু, রুবেল মিয়া, খোকন মিয়া, বায়েজিদ মিয়া ও জসিম মিয়াগংকে নিয়ে সিন্ডিকেড তৈরি প্রতিদিন লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুরি করে কয়লা ও পাথরসহ মাদক পাচাঁর করলেও এব্যাপারে কেউ পদক্ষেপ নেয়না।
বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সরকারের রাজস্ব দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী করে ৩ শুল্কস্টেশনের প্রায় ৭শত ব্যবসায়ী। কিন্তু রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের সযোগীতায় প্রতিদিন শতশত মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথর পাঁচার করাসহ চাঁদাবাজি করছে চোরাকারবারীরা। এব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা পদক্ষেপ নেয়না।
তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ বলেন-চোরাচালান ও চাঁদাবাজির জন্য বিজিবি দায়ী। তারা সুযোগ দেওয়ার কারণে সীমান্তে অন্যায় কর্মকান্ড হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানীর দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ওবায়দুর বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। এব্যাপারে আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.