মতিহার বার্তা ডেস্ক : ‘মা’ – ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু কি বিশাল তার পরিধি! সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আধার৷ মার অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়৷ তিনি আমাদের গর্ভধারিনী, জননী৷
মা” ডাকে পৃথিবীর সব সুখ শান্তি লুকিয়ে আছে। মায়ের বুকেই নিহিত আছে স্বর্গসুখ। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা অকৃত্রিম। মায়ের মমতা অতুলনীয়। মায়ের ভালোবাসা অমলিন। পৃথিবীতে সব ভালোবাসার মাঝে স্বার্থ থাকে, কিন্তু সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা নিখাঁদ। পৃথিবীতে এত অসীম সম্পদের মধ্যে একমাত্র মা-ই তুলনাহীন। মা ও সন্তানের সম্পর্ক জগতের সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। মায়ের কোলেই সন্তান খুঁজে পায় নিরাপদ আশ্রয়।
‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রথম প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রতি বসন্তকালে একটি দিন দেবতাদের মা ‘রিয়া’ যিনি ক্রোনাসের সহধর্মিণী তার উদ্দেশে উদযাপন করা হতো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে এই দিনটি যুক্তরাজ্যেও উদযাপন করা হতো ‘মাদারিং সানডে’ হিসেবে। ১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে।আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে, যার সূত্রপাত ১৯১৪ সালের ৮ই মে থেকে৷ বছরের আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি মানুষ নিজের মাকে ফোন করেন, তাঁর জন্য ফুল কেনেন, উপহার দেন৷ আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো, মায়েদের কি আলাদা করে কোনো উপহারের প্রয়োজন পড়ে? তাঁরা যে সন্তানের মুখে শুধুমাত্র ‘মা’ ডাক শুনতে পেলেই জীবনের পরম উপহারটি পেয়ে যান৷
মাকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সালামের পরে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে। তাঁদের একজন অথবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাঁদের ‘উফ্’ বলবে না এবং তাঁদের ধমক দেবে না; তাঁদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলবে। মমতাবশে তাঁদের প্রতি নম্রতার ডানা প্রসারিত করো এবং বলো, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাঁদের প্রতি দয়া করো, যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছেন।’ (সুরা ইসরা-বনি ইসরাইল, ২৩-২৪)। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সন্তানের জান্নাত মায়ের পদতলে।’
পৃথিবীর সব দেশেই এই মা শব্দটিই কেবল সর্বজনীন। মা হচ্ছেন মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, দার্শনিক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৩ মে, ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.