এবার ২০১৮ সালের মতো কইরেন, দেখবেন কী ফল হয় : কাদের সিদ্দিকী

এবার ২০১৮ সালের মতো কইরেন, দেখবেন কী ফল হয় : কাদের সিদ্দিকী

এবার ২০১৮ সালের মতো কইরেন, দেখবেন কী ফল হয় : কাদের সিদ্দিকী
এবার ২০১৮ সালের মতো কইরেন, দেখবেন কী ফল হয় : কাদের সিদ্দিকী

অনলাইন ডেস্ক: কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলার শেষ নেই। আওয়ামী লীগ লাফাচ্ছে, শান্তি মিছিল করছে, তারাই সব। নৌকা মার্কা দিলেই পাস। এবার আমি একটু দেখাতে চাই, নৌকা দিলে কেমনে ফেলও করা যায়।

’আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আয়োজিত উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, আপনাকে অনেক মানুষ ভালোবাসে। কিন্তু আপনি এই ভোট চুরি, এই চোরগো বোঝা নেবেন না। আপনি বদনামী হইয়েন না।

আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, সেইভাবেই থাকেন। আপনি চোরের নেতা হইয়েন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেদিনও একটি নির্বাচন হয়েছে, দুইজন সদস্য বানাইছে। তারা একটি সংসদ অধীবেশন পাবে না।

কোনো সংসদ সদস্য অধীবেশন পাবে না, তাহলে তো তিনি অপূরণই রয়ে গেল। আপনাকে ইলেকশন কে করতে বলছে। সেখানেও সিল মারছে, সমানে সিল মারতেছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম ৮০ নাকি ৮২ ভোট ৬০ সেকেন্ডে দিছে। এ রকম করে দিলে তাহলে ভোটারদের দরকার কী।
আজ যদি ভোটারের দরকার না থাকে তাহলে কিন্তু আপনাদের উপায় নেই। এবার আপনারা যদি ভোট ছাড়া নৌকা মার্কা নিতে চান তাহলে মার্কা কিন্তু জ্বইলে-পুইড়া ছাড়খাড় হয়ে যাবে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাবে ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান। ১০ বার চোরের, একবার শাউধের। ২০১৮ সাল, ওটা ভোট হয়েছে! ওটাকে ভোট কয়? তাও বলে ভোট। এবার ২০১৮ সালের মতো কইরেন, দেখবেন কী ফল হয়। আল্লাহর তরফ থেকে আপনাদের ওপর গজব পড়বে। সেই জন্য মানুষকে ভোট দিতে দেন। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেন। আর যার খুশি তাকে দাঁড়াতে দেন। ইলেকশন কমিশনের ভাইদের বলব- যে ভোটার সে যেন ভোটে দাঁড়াতে পারে, প্রার্থী হতে পারে।’

বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ধানের শীষ আলারা ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোটামুটি ঠিকই ছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পরে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছে মানুষ মারছে, পুলিশ মারছে। কোনো রাজনৈতিক দল তার যদি নিয়ন্ত্রণই না থাকে তাহলে তারা দেশের জন্য কী কাজ করবে। আমার মনে হয় তারা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।’

বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ও বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষকশ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ, বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, বাসাইল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বিন জাফর।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply