আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সফিনা নামুকওয়াইয়া নামের ওই বৃদ্ধা বুধবার উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার এক হাসপাতালে যমজ পুত্র এবং কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তিন জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বয়স ৭০ ছুঁয়েছে। শরীরে তেমন জোরও নেই। ব্যর্থ হতে পারেন জেনেও ঝুঁকি নিয়েছিলেন দ্বিতীয় বার মা ডাক শোনার। বুধবার যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন উগান্ডার সেই বৃদ্ধা। তিন জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সফিনা নামুকওয়াইয়া নামের ওই বৃদ্ধা বুধবার উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার এক হাসপাতালে যমজ পুত্র এবং কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে এই বয়সে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করা সম্ভব নয়। তাই আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়েছিল বৃদ্ধাকে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক এডওয়ার্ড তামালে সালির তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। “এই বয়সে এসে সন্তানের জন্ম দিতে পারা শুধু অসাধারণ নয়, অলৌকিক বিষয়,” এমনই মত এডওয়ার্ডের।
এই বয়সে এসে সন্তানের জন্ম দেওয়া অসম্ভব বা জন্ম দিলেও অসমর্থ শরীরে তাকে বড় করে তোলা বেশ ঝক্কির বলে চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছিলেন সফিনাকে। সব কিছু অগ্রাহ্য করে নিজের ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, সুস্থ যমজ সন্তানের জন্ম দিতে পারায় আনন্দ উপচে পড়ছে তাঁর। সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, “সন্তান হয়নি বলে একটা সময় অপয়া বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও সেই অপবাদ মোছেনি। কারণ তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।”
১৯৯২ সালে সফিনার প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়। ৪ বছর পর আবার বিয়ে হয় তাঁর। দুই দশকেরও বেশি সময় কেটে গেলেও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। ২০২০ সালে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেও মা ডাক শোনা হয়নি সফিনার। জীবন সায়াহ্নে এসে সেই ইচ্ছেও এ বার পূর্ণ হল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.