শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
স্থায়ী কমিটির বৈঠক আন্দোলনে ত্যাগীদের সম্মান জানাবে বিএনপি

স্থায়ী কমিটির বৈঠক আন্দোলনে ত্যাগীদের সম্মান জানাবে বিএনপি

স্থায়ী কমিটির বৈঠক আন্দোলনে ত্যাগীদের সম্মান জানাবে বিএনপি
স্থায়ী কমিটির বৈঠক আন্দোলনে ত্যাগীদের সম্মান জানাবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক: একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ সম্মান জানাবে বিএনপি। রমজানে কারামুক্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করা হবে। ১০ সাংগঠনিক বিভাগে হবে এই ইফতার। এছাড়া আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেবে দলটি। সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও মাঠের কোনো কর্মসূচি দেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা। জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার কথা বলেন তারা। তবে কি কর্মসূচি নেওয়া হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সূত্র জানায়, এ বছর রমজানে এতিম ও আলেম-ওলামা, কূটনীতিক, রাজনীতিক এবং পেশাজীবীদের সম্মানে কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি। পাশাপাশি সারা দেশের সব সাংগঠনিক জেলাসহ ইউনিটেও ইফতার মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হবে। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনও কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করবে।

দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৮ জুলাই থেকে সারা দেশে ২৭ হাজার ৫২৬ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। যার মধ্যে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ডের পর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসচিবসহ দুই স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও সারা দেশের ২৫ হাজার ৫৪৪ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনের পর থেকে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত বিএনপি হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে। তবে এর মধ্যে অধিকাংশ নেতাকর্মীই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কারাগারে এখন ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ দেড় হাজারের মতো নেতাকর্মী আছেন।

সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে সাড়ে তিন মাস পর অংশ নেন সদ্য কারামুক্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছে তাদেরও প্রশংসা করেন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘বৈঠকে অংশ নেওয়া সদ্য কারামুক্ত বিএনপি মহাসচিব ও দুই স্থায়ী কমিটির সদস্যকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা অনেকে কারামুক্ত হয়েছে, আরও বের হবে। আমরা দেখব কী করা যায়।’

সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে নেতারা বলেন, কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই ছিল পদ-পদবিহীন। নেতাদের অনুধাবন, মাঠের সক্রিয় নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের যদি সম্মান দেওয়া হয় তাহলে দল উপকৃত হবে। নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবে। স্থায়ী কমিটির সব নেতা মত দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়, কারামুক্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে ১০টি ইফতার পার্টি হবে। সেখানে সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন। এছাড়াও বৈঠকে গ্রেফতার নেতাদের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, তাদেরকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানানো হবে।

দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী নেতাদের অবদান স্বীকার করে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আজ-কালের মধ্যে চিঠি দেওয়া হবে।

একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, এটি ভালো উদ্যোগ। বাস্তবতা হলো গ্রেফতার হওয়া প্রায় সব নেতাকর্মীই মাঠে সক্রিয় ছিলেন। তবে অধিকাংশই তৃণমূলের নেতাকর্মী, যাদের কোনো পদপদবি নেই। তাদের সম্মানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে পদপদবি দিয়ে মূল্যায়নও করা উচিত। এতে করে নেতাকর্মীরা রাজপথে কর্মসূচি সফল করতে আরও উৎসাহ পাবে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন ইতোমধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ অনেক নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে এখনো কারাগারে আছেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনসহ অন্তত ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা। এদের মধ্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সব মামলায় ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন। জামিননামা কারাগারে পৌঁছালে তিনি যে কোনো সময় মুক্তি পাবেন বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও কয়েকজন এ মাসের মধ্যেই মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তথ্য সূত্র: যুগান্তর।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply