মিজানুর রহমান (টনি): হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে যতটা শরীরচর্চার প্রয়োজন, ততটাই দরকার খাওয়াদাওয়াও বুঝেশুনে করা। সেটা না করতে পারলে কোনও ভাবেই হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখা যাবে না।
হৃদ্যন্ত্রের খেয়াল রাখা সহজ নয়। নিয়ম মেনে না চললে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে তখনই, যখন ডায়েটেও ভারসাম্য বজায় থাকে। হার্টের অসুখ ঠেকাতে গেলে জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, একই সঙ্গে খাওয়াদাওয়াতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। শুধু তেল, ঘি, মশলা, মাখন খাওয়া বাদ দিলেই চলবে না। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়বে কোন খাবারগুলি খেলে, সেগুলিও জেনে রাখা জরুরি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে যতটা শরীরচর্চার প্রয়োজন, ততটাই দরকার খাওয়াদাওয়াও বুঝেশুনে করা। সেটা না করতে পারলে কোনও ভাবেই হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখা যাবে না।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটের ফ্ল্যাভনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হার্টের খেয়াল রাখে ঠিকই, তবে ডার্ক চকোলেটে কিছুটা চিনি থাকেই। অতিরিক্ত ক্যালোরিও বহন করে। তাই প্রতি দিন ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। মাঝে মাঝে একটা বা দুটো টুকরো খেতে পারেন।
বেরি ফ্রুটস
বেরি-জাতীয় ফলে প্রচুর অ্যান্থোসায়ানিন পাওয়া যায়, তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এই ফলগুলি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্ত পরিশোধনেও এদের ভূমিকা অনেকটাই। তাই হার্টের খেয়াল রাখতে এই ধরনের ফল উপকারী। স্ট্রবেরি, আমলকি, ব্লুবেরি, আঙুর নিয়ম করে খেলে উপকারই পাবেন।
টোম্যাটো
এই মুহূর্তে দাম বেশি হলেও টোম্যাটোর উপকারিতা বহু। এতে থাকা লাইকোপিন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা না থাকলে পাতে রাখতে পারেন টোম্যাটো।
শাক
পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ উৎস হল সবুজ শাকসব্জি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে ধমনীর কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে নাইট্রেট সমৃদ্ধ এই সব শাক। তবে রাতে বিপাকহার কম থাকে, তাই রাতে এড়িয়ে চলুন শাক খাওয়া। এতে বদহজমের আশঙ্কা থেকে যায়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.