অনলাইন ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দেনাদারের বাড়িতে মো. মোরসালিন (২৬) নামে এক পাওনাদারের লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে মো. আব্দুল্লাহ নামে অভিযুক্ত দেনাদার পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা পেতো। পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যার পর তাকে তালাবদ্ধ ঘরে ফেলে রাখা হয় লাশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ও অভিযুক্ত দুজনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এসব নিয়ে বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে। নিহত মোরসালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
গতকাল রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দল্লাহর তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।
নিহতের ভাই রায়হান ভূইয়া বলেন, ‘শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে ভাই আমাকে কাগজে হিসাবটি লিখে দিতে বলে। পাশাপাশি তাদের পরিবারকে জানানোর জন্য।
আমার ভাই পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতো। আব্দুল্লাহ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বলেন, ‘ গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরসালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। গতকাল রবিবার দুপুরের পর লোকমুখে শুনতে পারি শিবনগরের আব্দুল্লাহর ঘরে আমার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মোরসালিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.