অনলাইন ডেস্ক: পহেলা মে থেকে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের অধীনে বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত আন্ত-সীমান্ত নদীগুলোতে চিহ্নিত স্টেশনগুলোর বন্যা সম্পর্কিত ডেটা প্রেরণ শুরু করেছে ভারত।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন কাঠামোর তত্বাবধানে, ভারত এই বন্যা সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণ করছে। বিশেষ করে ব্রক্ষ্মপুত্র, বরাক, মনু, গোমতীর মতো আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে চিহ্নিত ভারতীয় স্টেশনগুলোর পানির স্তর, পূর্বাভাসের স্তর, প্রবাহিত পানির পরিমাণ এবং বৃষ্টিপাতের মতো তথ্য দিচ্ছে ভারত। তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, মহানন্দা এবং গঙ্গা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কতার উদ্দেশে এসব তথ্য দিচ্ছে দেশটি।
এটি বাংলাদেশকে বেশ কার্যকরভাবে সহায়তা করবে।
বন্যার তথ্য প্রেরণের ব্যবস্থা বাংলাদেশের অনুরোধে পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা ও সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে চিহ্নিত ভারতীয় স্টেশনগুলোর ডেটা নির্ধারিত বন্যাকালীন সময়ে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হচ্ছে। পূর্বে, বন্যার তথ্য আদান-প্রদানের নির্ধারিত সময়কাল ছিল ১লা মে থেকে ১৫ই অক্টোবর।
বর্ষা বিলম্বিত হওয়ার ফলে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতির জন্য ২০২২ সালের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত্ম বাড়ানো হয়েছিল।
গত বছর বন্যার পূর্বাভাস এবং সতর্কতামূলক কার্যক্রমে নিযুক্ত ভারত ও বাংলাদেশের সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপও নির্বিঘ্নে এবং সময়মতো ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল। এই মেসেজিং গ্রুপটিও পহেলা মে, ২০২৪ এ পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.