অগ্রিম ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে চলছে শেষ দিনের ‘যুদ্ধ’

অগ্রিম ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে চলছে শেষ দিনের ‘যুদ্ধ’

রাজশাহীর সময় ডেস্ক : ঈদে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট ক্রয়ে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে চলছে শেষ দিনের যুদ্ধ। গত চার দিনের মতো আজ (রোববার) শেষ দিনেও অনলাইনে এবং অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। তাই সবাই ছুটে এসেছেন স্টেশনে। কিন্তু এখানে কোনো কূল-কিনারাই পাওয়া যাচ্ছে না, টিকিটতো অনেক দূরের বিষয়!

সরেজমিনে দেখা যায়, অ্যাপসে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়ে নগরবাসী সেহরি খেয়ে না খেয়েই টিকিট নামের সোনার হরিণের আশায় ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটের আশায়। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যে বা যারা কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট হাতে পাচ্ছেন তাদের চোখে-মুখে যেন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। আর যারা এখনও পাননি তাদের মুখ মলিন। এসব ব্যক্তির অভিযোগেরও শেষ নেই।

টিকিট প্রত্যাশীরা জানান, কাউন্টার থেকে খুব ধীরগতিতে টিকিট দেয়া হচ্ছে। আধা ঘণ্টাতে ১০ জনও টিকিট পাচ্ছেন না। তাই কাউন্টার থেকে টিকিট পাওয়া না পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

টিকিট কালোবাজারি রোধ ও যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে এ বছর ৫০ ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাপস ব্যবহার করে টিকিট কিনতে না পারায় অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে কী লাভ হলো সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা? সেই সঙ্গে মাঝে মাঝেই সার্ভার হ্যাংয়ের অযুহাতে টিকিট বিক্রি স্থগিত থাকায়ও ক্ষোভ জানান তারা।

লোহাগাড়া কর অফিসে চাকরি করেন সানোয়ার ইসলাম। গতকাল (শনিবার) রাতে চট্টগ্রাম এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুরের চারটি টিকিটের জন্য। কিন্তু আজ বেলা ১১টা পেরিয়ে গেলেও তিনি টিকিট পাননি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার ভিড় কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অ্যাপস থেকে টিকিট কিনতে না পেরে সবাই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তারপরও আশা ছাড়ছি না। ‘

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য আসা মোনাজাত নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ, ‘একটি টিকিট দিতে কাউন্টারে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় নিচ্ছে। এত সময় নিলে কীভাবে হবে? ‘

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, আজ (২৬ মে) শেষ দিনে দেয়া হচ্ছে ৪ জুনের টিকেট। একইভাবে আগামী ২৯ মে থেকে ঈদ পরবর্তী রিটার্ন টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ওই দিন দেয়া হবে ৭ জুনের টিকেট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন বিক্রি করা হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের অগ্রিম টিকেট।

টিকিট প্রত্যাশীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেষ দিনে চাপ বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিনের মতো আজও অ্যাপসসহ ১২হাজার টিকিট দেয়া হয়েছে। সীমিত টিকিট, চাহিদা বেশি। বিষয়টি সকল যাত্রী সাধারণকে বোঝার অনুরোধ জানাচ্ছি।

রাজশাহীর সময় ডট কম২৬   মে ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply