শিরোনাম :
কাঠবাদাম খেলে কি সত্যি ওজন কমে? কী এমন আছে তাতে? আফ্রিদির বিয়েতে জল্পনা উড়িয়ে বাবর ১০০ কোটি বছরেও শেষ হবে না মহাকাশের ‘মদের ভান্ডার’! স্বাদে গন্ধে কেমন সেই ‘মহাজাগতিক সুরা’? ‘বার বার বিবাহিত পুরুষদের প্রেমে পড়েছি’, বিয়ে না করার কারণ খোলসা করলেন সাবিত্রী মাটি থেকে ১০০ ফুট উপরে ঘুড়ির সুতো ধরে পত পত করে উড়ছেন যুবক! রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অক্টোবরে যাবেন চিন সফরে, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক সমঝোতা ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’-এর আগেই দুই খান-শিবিরে আগুন! হাতাহাতি থামাতে ডাক পড়ল পুলিশের কোমর থেকে খুলে যাচ্ছে শাড়ি, অম্বানীদের গণেশ পুজোয় দিশার এমন সাজ দেখে বিরক্ত অনেকে রাবিতে জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের গণ জমায়েত যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং শিশুবান্ধব আদালত পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ
গাইবান্ধায় অভাবে সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছেন বাবা-মা

গাইবান্ধায় অভাবে সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছেন বাবা-মা

মতিহার বার্তা ডেস্ক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দা ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের হাবিল মিয়া অভাবের তাড়নায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে তুলে দেন এক বিত্তবান পরিবারের হাতে। পরে সন্তান বিক্রির টাকা দিয়ে কেনেন বসতভিটা।

একই উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের ভূমিহীন আশরাফুল ইসলাম অভাবের কারণে তিন বছর ও দু’বছর আগে দুই মেয়েকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যের হাতে তুলে দেন।

এ বিষয়ে হাবিল মিয়া কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘আমি চলতে পারি না, গরিব মানুষ। জায়গা জমি নাই। মানুষের জায়গায় থাকি, সেখানে থাকতেও দেয় না। বাচ্চাটাকে বিক্রি সেই টাকা দিয়েই ভাতিজার কাছ থেকে বসতভিটার জায়গাটা কিনেছি।’

অপরদিকে সন্তান বিক্রেতা আশরাফুল বলেন, আমার দু’বার করে যমজ সন্তান হয়েছে। তাদের আমি পালতে পারিনি। অভাবের কারণে দুটো বাচ্চা বিক্রি করে দিয়েছি। একটাকে বিক্রি করে পেয়েছি ৫ হাজার টাকা, অন্যটির বেলায় পেয়েছি ১৫ হাজার টাকা। এই টাকায় সংসারে অনেক উপকার হয়েছে।

উত্তর ধর্মপুর গ্রামবাসীর অভিযোগ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম এলাকায় অভাবের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া অনেক মানুষের পাশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বা সরকারি কেউ দাঁড়ায় না। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা টাকা ছাড়া কারো উপকার করেন না।

রাজবাড়ি গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ভোটের সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপিরা আসেন ভোট চাওয়ার জন্য। কিন্তু ভোট শেষে কেউ আর খোঁজ নেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্মপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের আসনের এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে দেশের উন্নয়ন নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু এই সব মানুষের কাছে কখনও আসেন না ভালো মন্দের খোঁজ নিতে।’

তবে বিষয়টি জানার পর গাইবান্ধ-৫ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পরিবার দুটিকে সার্বিক সহযোগিতা করব। তাদের অর্থনৈতিক সকল সহযোগিতা করা হবে। সুত্র: জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৬ জুন  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply