শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সু চি!

মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সু চি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিজেদের দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি এবং হাঙ্গেরির ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তারা দু’জনেই অভিবাসন এবং ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যাকে নিজেদের দেশের জন্য সংকট হিসেবেই দেখছেন।

ইউরোপ সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সু চি। এই সফরেই বুধবার বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি।

সু চি এবং অরবানের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে হাঙ্গেরি সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে দু’দেশের জন্যই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অভিবাসন। এই সংকট সমাধানের বিষয়টিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন এই দুই নেতা।

তারা জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিজেদের দেশের জন্য সমস্যা হিসেবে দেখছে হাঙ্গেরি ও মিয়ানমার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান বলেন, পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব সময়ই মিয়ানমার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশে পেয়েছে হাঙ্গেরি।

তবে ২০১৫ সালে ব্যাপক অভিবাসনের জন্য সংকটময় পরিস্থিতি ঘোষণা করায় হাঙ্গেরির এই ডানপন্থি নেতার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকবার বিবাদ বাধে।

বিভিন্ন দেশের সরকারের মাধ্যমেই অভিবাসনের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছিলেন অরবান। তার মতে এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমলাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। হাঙ্গেরির সীমান্তকে নিরাপদ করে তোলার জন্য যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অভিবাসন বিরোধী কঠোর নীতি গ্রহণ করায় অরবান সরকারের সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার কমিশন। অপরদিকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করে মিয়ানমার সেনাদের পক্ষপাতিত্ব করায় বিভিন্ন দেশ বরাবরই সু চির সমালোচনা করে আসছে। তাকে দেয়া বিভিন্ন সম্মাননাও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাঁচতে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৭ জুন  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply