শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে লাখ টাকা খোয়া গেলেও প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীর

রাজশাহীতে লাখ টাকা খোয়া গেলেও প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীর

এসএম বিশাল: রাজশাহী নগরীতে প্রতারণার শিকার হয়ে বয়োবৃদ্ধ এক ব্যক্তির লাখ টাকা খোয়া গেছে। কম টাকায় বেশি রিয়াল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলেও আইনি সহায়তা বা কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নগরীর রাণীবাজার বাটার গলি এলাকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ এমএম ওয়ালিউল মাহবুব।ফলে টাকা উদ্ধারসহ প্রতিকার পেতে তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় কামনা করেছেন।

এমএম ওয়ালিউল মাহবুব জানান, গত বছরের ৯ এপ্রিল তিনি নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে ওষুধ কেনার জন্য যান।ওই সময় শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সময় শহিদুল তার বাড়ির ঠিকানা দেন চট্রগ্রামের খুলশি পাহাড়তলি এলাকায়। তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে এ পরিচয় পাওয়া যায়।(জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ১৯৮০১৫৯৪৩১৪৮৭৩৬৭৩)।

পরিচয় হওয়ার পরে শহিদুল তাকে জানান যে, তিনি কিছু রিয়াল ভাঙাতে ইচ্ছুক। এ জন্য মানি একচেঞ্জ অফিস প্রয়োজন। তিনি সহযোগিতা কামনা করেন। এমএম ওয়ালিউল মাহবুব এসময় শহিদুলকে মানি একচেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান।সেখানে কিছু রিয়াল ভাঙান।

এর মাধ্যমে শহিদুলের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে শহিদুল তাকে জানান, তার কাছে কিছু রিয়াল আছে। তিনি কম দামে তাকে দিতে চান।ওয়ালিউল মাহবুব আরো বলেন, মানি একচেঞ্জ অফিসে এক লাখ টাকায় পাঁচ হাজার রিয়াল দিয়ে থাকে।

কিন্তু উপকারের প্রতিদান হিসেবে শহিদুল তাকে সাত হাজার রিয়াল দিতে চান।সে মোতাবেক পরের দিন ১০ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়াম গেইট সংলগ্ন জায়গায় শহিদুল আসেন। আমিও এক লাখ টাকা নিয়ে সেখানে যাই।

সেখানে আমি তাকে টাকা দিলে তিনি আমাকে রিয়ালের ব্যাগটি ধরিয়ে দেন ও বিদায় নিয়ে চলে যান।বাড়ি গিয়ে আমি ব্যাগ খুলে দেখি যে, ভেতরে শুধু টুকরো কাগজ। এ ঘটনায় একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওয়ালিউল মাহবুব।ভুক্তভোগী ওয়ালিউল মাহবুব জানান, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ঘুরছি। আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পেলাম না। পুলিশ শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে।

তাই টাকা রেত পেতে তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নাই, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাকিব বলতে পারবেন। এই দিকে রাজপাড়া থানার এসআই রাকিবকে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৬ জুন ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply