শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রামেক হাসপাতোলে নার্সের মৃত্যু, সহকর্মীদের আইসিইউ ভাঙচুর

রামেক হাসপাতোলে নার্সের মৃত্যু, সহকর্মীদের আইসিইউ ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিলারা খাতুন (৩২) নামের এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সহকর্মীরা রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) দরজার কাচ ভাঙচুর করেছেন।

রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাসপাতাল বক্স পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

দিলারা রামেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলপার নওডাঙা গ্রামের সবুজ আহমেদ মিঠুনের স্ত্রী।

সবুজের অভিযোগ, তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার দুপুরের আগেই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছেন রোববার সন্ধ্যায়।

সবুজ জানান, সন্তান প্রসবের জন্য গত বৃহস্পতিবার তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিনে তার শরীরে ১৬ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিলেন, দিলারা খাতুন জন্ডিসে আক্রান্ত। এ ছাড়া তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। দূষিত হয়েছে রক্তও। তিন দিনে চিকিৎসায় তারা প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করেন।

শনিবার থেকে তাদের রোগী দেখতে দেয়া হয়নি। রোববার সন্ধ্যায় দিলারার মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

স্বামী সজলের দাবি, দিলারার মরদেহ থেকে পানি বের হচ্ছে। এ থেকে তারা ধারণা করছেন, শনিবারই দিলারার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছে।

এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় হাসপাতালে দিলারার সহকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা আইসিইউয়ের দরজার কাচ ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা। এ সময় হাসপাতাল পরিচালক ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফেরেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েক দফা ফোন করা হলেও আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ফোন ধরেননি।

হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান বলেন, এখনই তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে চান না।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৭ জুন- ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply