শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করেই আগামী মাসেই আসছে S-400: এরদোগান

মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করেই আগামী মাসেই আসছে S-400: এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাগাতার মার্কিন হুমকি। আর তা উপেক্ষা করেই সেনাবাহিনীর হাতে আসছে রাশিয়ার সবথেকে আধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম S-400। আগামী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের শুরুতেই তুরস্কে পৌঁছবে এই ডিফেন্স সিস্টেম। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।

তাঁর দাবি, মার্কিন হুমকি সত্ত্বেও আগামী মাসে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম S-400 তুরস্কে পৌঁছতে শুরু করবে। এই মুহূর্তে তাজিকিস্তান সফরে রয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এরদোগান।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এরদোগান বলেন, আমার মনে হয় আগামী মাসের প্রথম দিকেই রাশিয়া আধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম S-400 পাঠাতে শুরু করবে। ইতিমধ্যে তাঁর রাশিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এরদোগান। রুশ এস-৪০০ কেনার বিষয়টি পুরোপুরি চূড়ান্ত। শুধু সময়ে অপেক্ষা। মাস পেরোলেও যে কোনও সময়ে দেশের মাটি ছোঁবে এই ডিফেন্স সিস্টেম।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে চুক্তি সই করে। এর দুই বছর আগে আমেরিকা সিরিয়া সীমান্তে মোতায়েন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তুরস্ক এস-৪০০ কেনার চুক্তি করার পর থেকেই আমেরিকা লাগাতার বিরোধিতা করে আসছে। একইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের তরফে একের পর এক হুমকি আসছিল তুরস্কের কাছে।

মার্কিন প্রশাসনের তরফে এরদোগানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনলে এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান নির্মাণে যৌথ প্রকল্প থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া হবে। তুরস্কের কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানি আমেরিকার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান নির্মাণের ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। পার্টনারশিপে এই যুদ্ধবিমান তৈরির কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, তুর্কি এয়ার ফোর্সের পাইলটদেরকেও আমেরিকা প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।

ইতিমধ্যে তুর্কি পাইলটদের যুদ্ধবিমানের কেসারত শেখানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মার্কিন এয়ারফোর্স। তাঁদের আর কোনও ধরনের কেসারত শেখাচ্ছে না মার্কিন যুদ্ধবিমানের পাইলটরা। এবার এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে আমেরিকা হাত তুলে নেওয়াটা সময়ের অপেক্ষা বলে মত সামরিক পর্যবেক্ষকদের। রাশিয়ার কাছ থেকে S-400 কেনাকে কেন্দ্র করে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে তুরস্ক এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৭ জুন  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply