শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
রাজশাহীতে ওসি’র নাম ভাংগিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীতে ওসি’র নাম ভাংগিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে কাটাখালি থানার ওসি’র নাম ভাঙ্গিয়ে ৮৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গত (০৯ জুন ২০১৯) প্রতিকার চেয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ নাজমুল হক। তিনি নগরীর কাটাখালি থানাধিন টাংগন এলাকার মৃত সিদ্দিক আলী’র ছেলে। পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মোঃ নাজমুল হকের অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, এম.এ হাবিব জুয়েল ও মমিম নামের দু’জন নামধারি সাংবাদিক টাংগন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ফেন্সিডিল সেবন করতে যেতো। এরই এক পর্যয়ে অভিযোগকারী নামুলের সাথে টাংগন এলাকার একটি চায়ের স্টলে তাদের পরিচয় হয়। পরে সাংবাদিক হিসেবে তাদের বিশ্বাস করতে থাকে নাজমুল।

জুয়েল ও মমিন তাকে জানায়, আপনাদের এলাকায় একটি মাদক মামলা হয়েছে যে মামলায় দু’জন ব্যক্তিকে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে। আমরা কাটাখালী থানার ওসিকে বলে তাদের দু’জনের নাম কাটিয়ে দেবো।

তাদের কথামতো পলাতক দু’জনকে নাজমুল বিষয়টি জানলে তারা রাজি হয়ে যায় এবং ৭০হাজার টাকা ওসিকে দেয়ার নাম করে নগদ টাকা স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মিঠুনের উপস্থিতিতে গ্রহন করে জুয়েল ও মমিন। এরপরে তারা দু’জনে খরচ বাবদ আরো ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে টাংগন এলাকায় যাওয়া ছেড়ে দেয়।

পরে ভুক্তভোগীরা থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া হয় নাই। তখন তারা স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মিঠুনকে দিয়ে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে কথিত সাংবাদিকদের। পরে তারা তিন ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং অবশিষ্ট ৩৪ হাজার টাকা দিবেনা বলে জানায় মমিন ও জুয়েল।

তারপরও নাজমুল টাকার জন্য বললে কথিত সাংবাদিকরা বলে টাকা ফেরত দেবো না। আর টাকার বিষয়ে কাউকে জানালে শহরে ধরে হাত-পা ভেঙ্গে দেবো।

কোন উপাই না পেয়ে মধ্যস্থকারী ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মোঃ নাজমুল হক আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গত(৯ জুন ২০১৯) তারিখে।

এই অভিযোগের বিষয়ে জুয়েল ও মোমিন নাজুলের মুঠোফোনে ফোন করে বলে, তারা অভিযোগটি খেয়ে ফেলেছে। তাদের নিকট থেকে টাকা তোলা সহজ নয়।

প্রসঙ্গত: গত (২২ জানুয়ারী ২০১৯) সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর সিপাইপাড়া ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ভূয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে এমএ হাবিব জুয়েলের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন, রাসিক ৯নং ওয়ার্ড এলাকার শতাধিক এলাকাবাসীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা জুয়েলকে ভুয়া সংবাদিক, চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বলে বক্তব্যে দেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাজে অনুরোধ জানান তারা।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৯ জুন ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply