নিজস্ব প্রতিবেদক: দরপত্রে অংশ নিয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ১৪০ টন পরিত্যক্ত খাতা পেয়েছিল ‘সুফিয়া এন্টার প্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে করোনাকালে প্রতিষ্ঠানটি আর দরপত্রে দেয়া দামে কাগজ নিতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী, আবারও দরপত্র আহ্বান করে কাগজ বিক্রির কথা। কিন্তু দরপত্র ছাড়াই অন্য কোম্পানীকে কাগজ দেয়া হয়েছে।
সুফিয়া এন্টার প্রাইজের পক্ষে যারা কাগজ পেয়েছিলেন তারা হলেন- মিরাজ, শাফি, আব্দুল খালেক ও পাভেল। তারা জানান, গত আট মাস আগে তারা পরিত্যক্ত নম্বরপত্র, প্রশ্নপত্র ও খাতা দরপত্রে অংশ নিয়েই সর্বোচ্চ দামে কেনেন। জমা দেন এক লাখ টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তারা কাগজ নিয়ে যেতে পারেননি। করোনাকালে দাম কমে যাওয়ায় তারা লোকসানের আশঙ্কায় পড়েন। তাই পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে কাগজ বিক্রির জন্য তারা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এবার দরপত্র ছাড়াই বৃহস্পতিবার কাগজগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্ণফুলি নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে মাত্র সাড়ে ১৪ টাকা দরে সব ধরনের কাগজ নিয়ে গেছে। অথচ সুফিয়া এন্টার প্রাইজ নম্বরপত্র ৩৬ দশমিক ৬৩ টাকা, প্রশ্নপত্র ১৮ দশমিক ৬৩ টাকা এবং খাতা ২৮ দশমিক ৬৩ টাকা দর দিয়েছিল। বোর্ডে ১০০ টন নম্বরপত্র ও ৪০ টন খাতা ছিল।
দরপত্র ছাড়াই কাগজ বিক্রির বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কাগজ বিক্রি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো। কিন্তু কাজ পাওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘ আট মাস যাবৎ গুদাম থেকে কাগজ নিয়ে যাননি। বার বার চিঠি দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। তারা লোকসানে পড়লে নতুন কোন দামও বলেননি। যেহেতু করোনার কারণে কাগজের বাজার কমে গেছে তাই একটু কম দামেই এবার বিক্রি করা হয়েছে। আর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কোন কিছু বিক্রি করতে গেলে দরপত্র না আহ্বান করলেও চলে।
মতিহার বার্তা ডট কম-২১-০৮-২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.