স্টাফ রিপোর্টার:রাজশাহী নগরীর মতিহারে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ সোভন (২২) নামের এক যুবককে আটকের পর অজ্ঞাত করনে আরএমপি ধারায় কোর্টে চালান দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মতিহার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ওই যুবকের পিতার নাম বাবু। সে নগরীর বোয়লিয়া থানাধীন হাদির মোড় পদ্মার পাড় এলাকায় তার নানির বাড়িতে বসবাস করে।
আজ রবিবার (২৩ আগষ্ট) সকাল পৌনে ১১ টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় তাকে আটক করে এএসআই ফিরোজ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
এসময় তার কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা ও দেড় বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে অজ্ঞাত কারনে তাকে আরএমপি ধারায় চালান করে পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সোভনকে আটকের সময় তার নিকট ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করতে দেখা গেছে। কিন্তু আরএমপি ধারায় চালান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, এএসআই ফিরোজ জানান, আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না ওসি স্যারের কাছে জানুন। এর পরেই তিনি বলেন, ভাই আসেন চা খেতে খেতে আলাপ করি।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি অবগত। সেখানে দুইজন অফিসার গেছিলো। তবে তারা হাফ বোতল ফেনসিডিলসহ আটকের কথা জানায়। তিনি আরো বলেন, ইয়াবা এবং দেড় বোতল ফেনসিডিলের বিষয়টি আমি অবগত নই বলেও জানান ওসি।
অভিযোগ রয়েছে, এএসআই ফিরোজের নামে গত আনমানিক ২০/২৫ দিন আগে শাকিলা নামের একজন ভুক্তভোগী নারীর পরোকিয়া প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা করিয়ে দেয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু ওই নারীকে ১৫ দিন ঘুরানোর পরেও মামলা রুজু করেনি এএসআই ফিরোজ।
এর আগে গত মে মাসে ড্যানি নামের এক ব্যবসায়ী ও তার বন্ধু আরএফএল-এর ম্যানেজারকে মিজানের মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করে এএসআই ফিরোজ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
পরে তাদের থানা হেফাজতে নিয়ে মাদক মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মুক্তি দেয়। এই হলো মতিহার থানার এএসআই ফিরোজের মাদক বিরোধি অভিযান।
মতিহার বার্তা ডট কম – ২৩ আগস্ট, ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.