সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেললেন চিকিৎসক

সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেললেন চিকিৎসক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

অনলাইন ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের কাউতলি এলাকার দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ক্লিনিকের সবাই গাঢাকা দিয়েছেন।

প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তার প্রসবব্যথা নিয়ে রোববার সকালে আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন। জেলা শহরে আসার পর এক দালাল ফারজানার পরিবারকে ফুসলিয়ে আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে মারুফা রহমান নামে এক চিকিৎসক ফারজানার সিজারিয়ান অপারেশন করান।

প্রসূতি ফরজানার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম জানান, সাড়ে ১৬ হাজার টাকায় সিজারিয়ান অপারেশনের চুক্তি হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলেন চিকিৎসক। পেটের একপাশে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে নাভি কাটতে গিয়ে কাঁচির আঘাত লেগেছে বলে জানায় তারা।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওই ক্লিনিকে যান। ততক্ষণে গাঢাকা দেন ক্লিনিকের সবাই।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, নবজাতকের পেটে ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। সেটি গুরুতর নয়। অদক্ষতার কারণে এমনটি হয়েছে।

ক্লিনিকের ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply