শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

বিশেষ কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার

অনলাইন ডেস্ক: ২০১৭-১৮ সালে ‘পেপসিকে’ ‘কোক’ বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছিল গরু পাচারকারী সিন্ডিকেটের মাথা তথা হাওলা ট্রেডার্স এনামুল হক। লাভের সেই টাকা থেকে মোটা টাকা বখরা পেতেন বিএসএফের কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার-সহ বেশ কিছু বিএসএফ কর্মকর্তারা । তারা প্রত্যেকেই এখন সিবিআই-এর নজরে।

জানা গিয়েছে, সেই সময় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু বাংলাদেশে যেত। বিএসএফ ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নির্দিষ্ট সময়ে লাইন মারফত সীমান্তহীন করে দেওয়া হতো গরু গুলিকে।

আর সেই সুযোগ নিয়েই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাখের আলী, মাসুদপুর এই বিট খাটাল গুলি থেকে গঙ্গানদী পার করে মালদহের বৈষ্ণবনগর ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দিয়ে গরু পাঠানো হতো বাংলাদেশে। লোক দেখানোর জন্য কিছু গরু আটক করতো বিএসএফ। পরে সেগুলি কাস্টমসের মারফত নিলাম করা হতো।

পাচারকারীদের কোড অনুযায়ী বড় গরু গুলিকে বলা হত ‘কোকাকোলা’ ও ছোট গুরুকে বলা হতো ‘পেপসি’। বাজেয়াপ্ত গরু নিলামের সময় বড় গরুকে ‘ছোট গরু’ দেখিয়ে অর্থাৎ ‘কোকাকোলাকে’ ‘পেপসি’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো।

যার ফলে গরুর দাম কমে যেত এবং সেখান থেকেই প্রচুর টাকা রোজগার করত এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট। কারণ তারাই এই গরু গুলি নিলাম করতো। কিন্তু পরে ওই গ্রুপে আবার পাচার করা হতো। গরু প্রতি আড়াই হাজার টাকা পেত বিএসএফ ও কাস্টমস আধিকারিকরা। তার মধ্যে বিএসএফ পেতো ২০০০ টাকা ও কাস্টমস গরু প্রতি ৫০০ টাকা।

২০১৭-১৮ সাল নাগাদ বিএসএফ ওই এলাকায় প্রায় ২০ হাজার গরু আটক করে নিলাম করেছিল। তাহলেই বোঝা যায় কত টাকা লুটপাট হয়েছিল। বড় গরু গুলিকে কাগজে-কলমে ছোট গরু দেখানো হতো। কাস্টমসের কর্মকর্তাদের একাংশ এই কারবার করত। সিবিআইয়ের হাতে এই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে প্রচুর রাজস্ব ক্ষতি হয়েছিল ভারত সরকারের।

২০১৮ সাল নাগাদ কেরল থেকে জিবিইউডি ম্যাথু নামে এক কমান্ডকে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় এনামুল হক। এরপরে সীমান্তে পাচার অনেকটা কমে যায়। সেই সময় বিএসএফের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ব্যাটেলিয়ান পরিবর্তন হয়।

গ্রেফতার হওয়া কমান্ড্যান্টের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী আরেক কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার তার সঙ্গে এনামুলের পরিচয় করে দিয়েছিল। সেই সময় সতীশ কুমার বিএসএফের মালদহ সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। এভাবেই একদিকে চলতো গরু পাচার অন্যদিকে আটক হওয়া গরুকে কিনতো এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৪ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply