রহস্যময় অসুখে মৃত ৫৬ শিম্পাঞ্জি, ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যেও: সমীক্ষা

রহস্যময় অসুখে মৃত ৫৬ শিম্পাঞ্জি, ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যেও: সমীক্ষা

রহস্যময় অসুখে মৃত ৫৬ শিম্পাঞ্জি, ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যেও: সমীক্ষা
রহস্যময় অসুখে মৃত ৫৬ শিম্পাঞ্জি, ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যেও: সমীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক: সিয়েরা লিওনে টাকুগামার অভয়ারণ্যে এক রহস্যজনক অসুখে মৃত্যু হল ৫০ শিম্পাঞ্জির। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একটি নতুন ব্যাকটিরিয়ার জেরে এই মৃত্যু হয়েছে। নতুন গবেষণা বলছে, এই রোগ মানুষের পক্ষেও বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত হতে পারে।

ইএনজিএস বা এপিজুটিক নিউরোলজিক অ্যান্ড গ্যাস্ট্রোএন্টারটিক সিন্ড্রোম হিসেবে এই রোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রোগটি শিম্পাঞ্জির মধ্যে স্নায়বিক সমস্যা, বমি এবং ডায়রিয়ার মধ্যে রোগের সৃষ্টি করছিল। ২০০৫ সাল থেকে, ইএনজিএস-এর চিকিৎসা হওয়া সত্ত্বেও টাকুগামার অভয়ারণ্যে এই রোগের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।

আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল ইএনজিএস নিয়ে গবেষণা করে জানিয়েছে, টি সার্সিনা সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। নেচার জার্নালে একটি গবেষণায় গবেষকদের টিম জানিয়েছে, সম্ভবত এটিতে সার্সিনার কোনও জটিল ধরণ উপস্থিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, নতুন ভাইরাস নিয়ে এখন আতঙ্ক রয়েছে সারা বিশ্ব। এক করোনা সারা পৃথিবীর যে হাল করেছে, তাতে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে সকলে। এখনও কোথা থেকে করোনা এসেছে তার উৎস সন্ধান করছে বিজ্ঞানীরা।

চিনের গুহাগুলিতে থাকা যে বাদুড়ের থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান, সেই গুহাগুলিতে তদন্ত করতে চাইছে হু-এর বিশেষজ্ঞ দল। এমনকি উহানের একটি গুহায় এখন তদন্ত চালাচ্ছে হু-এর একটি বিশেষ টিম। জানা গিয়েছে, করোনভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কিত জেনেটিক প্রমাণ খুঁজছে ওই বিশেষ টিম।

হু-এর যে টিম উহানের গুহায় খোঁজ চালাচ্ছে তাঁদের এক সদস্য পিটার দাসজ্যাক। তিনি একজন প্রাণীবিদ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞও। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ এর শেষে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাস সম্পর্কে নতুন তথ্য পাচ্ছেন। তবে কোন কোন নতুন তথ্য উঠে এসেছে সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে পিটার। তবে তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস কোনও পরীক্ষাগারে তৈরি হয়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৯  ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply