ঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর নান্দনিক প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

ঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর নান্দনিক প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

ঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর নান্দনিক প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
ঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর নান্দনিক প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

মঈন উদ্দীন: মাত্র ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগের ধুলিঝড়ে উপড়ে পড়া রাজশাহীর নান্দনিক প্রজাপতি সড়কবাতিগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদেরর লোকজন। ফলে নগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কটির বিভাজন আবারও ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বুধবার থেকে সড়কবাতির খুঁটিগুলো খোলার কাজ শুরু হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সড়কবাতিগুলোর উদ্বোধন করেছিলেন। এর দেড় মাসের মাথায় ৪ এপ্রিল মৌসুমের প্রথম ঝড়ে অন্তত ৮৬টি সড়কবাতির খুঁটি হেলে পড়ে। এর মধ্যে অন্তত ৪০টি সড়ক বিভাজনের ভেতরে পড়ে যায়। কোন কোনটি আছড়ে পড়ে সড়কে। সড়কটিতে মোট ১৭৪টি খুঁটি বসানো হয়েছিল। প্রতিটিতে ছিল দুটি করে এলইডি বাতি।

রাসিকের এই সড়কবাতি বসানোর কাজটি পেয়েছিল ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে, কংক্রিটের যে স্তম্ভের ওপর খুঁটিগুলো বসানো হয়েছিল সেটি সিডিউল অনুযায়ী হয়নি। আকারে ছোট সেই স্তম্ভটি সামান্য একটুই মাটিতে পুঁতেছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বেলে মাটির ওপর স্তম্ভটি কম করে পোঁতার কারণে ঝড়ে সেটি গোড়া থেকেই উপড়ে যায়।

এর পরদিন সোমবার সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সরেজমিনে খুঁটিগুলো পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি খুঁটিগুলোর সবই তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর কংক্রিটের স্তম্ভটি বেশি করে পোঁতার পর তার ওপরে আবারও খুঁটিগুলো স্থাপনের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী বুধবার থেকে খুঁটিগুলো কংক্রিটের কাঠামো থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সব খুঁটি খুলে নেয়ার কথা রয়েছে।

রাসিক বলছে, এই কাজের শর্ত অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে কোন ক্ষতি হলে তা নিজ খরচে ঠিক করে দেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শর্ত অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো বলেন, কংক্রিটের কাঠামোটি বেশি করে পুঁতে দিলে সড়কবাতির দৃষ্টিনন্দন নিচের অংশটি আইল্যান্ডে ঢাকা পড়ছিল। ওপরের প্রজাপতির মতো অংশটিও নিচু হয়ে যাচ্ছিল। সে কারণে কংক্রিটের কাঠামোটি কম করে পোতা হয়েছিল। উল্লেখ্য, হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন এর আগে রাসিকের ১৬টি ফ্লাড লাইট বসানোর কাজ করেছে। ৯ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয়ে নগরীর ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্লাড লাইটগুলো বসানো হয়েছে। এই কাজেই ছয় কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যেই ৫ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রজাপতি সড়কবাতি বসানোর কাজ পায় এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে রাজশাহীতে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply