স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা (২৯ নম্বর) ওয়ার্ডে হঠাৎ করেই একটি সিলিং ফ্যান খুলে পড়েছে। এটি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড হওয়ায় প্রায় সব রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু। কিন্তু সেখানে মাথার ওপর থেকে একটি ফ্যান ভেঙে মেঝেতে পড়ায় করোনা রোগীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় অল্পের জন্য রোগীরা ও তাদের স্বজনরা প্রাণে রক্ষা পান। দীর্ঘ দিন ধরে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগী ও স্বজনেরা।
চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনেরা জানান, রোগীরা অল্পের জন্য বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। এ ঘটনায় পুরো ওয়ার্ডের অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন নাহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিং ফ্যান ছিটকে মেঝেতে পড়ে। ভাগ্য ভালো যে কোনো রোগীর ওপর পড়েনি। এ ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে ওয়ার্ডে থাকা অর্ধশতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনেরা দিগি¦দিক ছুটোছুটি শুরু করেন।
আরেক রোগীর স্বজন মো: জামশেদ অভিযোগ করে বলেন, বাবাকে নিয়ে ৩ দিন ধরে হাসপাতলে আছি। হাসপাতালে মানুষ যখন বাঁচার জন্য আসে তখন তাদের গায়ের ওপর ফ্যান খুলে পড়ছে। ওয়ার্ডে ৮-৯টি ফ্যান নষ্ট, লাইট জ্বলে না। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রাতের বেলা অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। টয়লেটগুলো নোংরা ও সেঁতসেঁতে। তীব্র দুর্গন্ধে ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। টয়লেটের দরজায় ছিটকিনিও নেই। এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ওই ওয়ার্ডের সকল সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.