কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা-শিক্ষকের

কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা-শিক্ষকের

কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা-শিক্ষকের
কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা-শিক্ষকের

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুরের সেই সাংবাদিক পরিচয়দানকারী চপলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন একজন শিক্ষক। বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ ওরফে হাফিজ মাস্টার বাদি হয়ে (৯ আগষ্ট) বাগমারা থানায় তাদের নামে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ৭ আগষ্ট দুপুরে বাগমারা প্রেসক্লাবে এদের নামে সাংবাদিক সম্মেলন করেন হাফিজ মাস্টার।

বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, এই চপল সহ তার সহযোগিরা এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে। তিনি বলেই, আমি পুর্বে মোহনপুর থানায় থাকাকালীন সময়ে সেখানে চাঁদাবাজীর অভিযোগে এই চপলের নামে মামলা হয়। মৌগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন নিজেই চপলের অনেক অঘটনের সাক্ষী। ওসি বলেন, এ ছাড়াও এই চপলের বিরুদ্ধে প্রতারণা জালিয়াতিসহ চারটির উপরে মামলা রয়েছে তার নামে।

তিনি বলেন, কিছুদিন পুর্বে তার ঢাকায় থাকা পিতাকে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে দেওয়া হয়েছিল। চপলের বিষয়ে মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছে জটলাবাধা সব অভিযোগ। একটি এনজিও এর নিকট থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে দীর্ঘদিন আত্নগোপনে থেকে কথিত সাংবাদিক পরিচয় নিয়ে রাজশাহীতে ভাড়া বাসায় উঠেন এই চপল। সেই এনজিওর করা মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। চপলের প্রথম স্ত্রী এই প্রতারণার মামলার কারণে চপলকে তালাক দেন। চপলের সেই ঘরেও রয়েছে আরেকটি কন্যা সন্তান।

চপলের ২য় স্ত্রীর ঘরেও জন্ম নেয় আরো একটি কন্যা সন্তান। বর্তমানে নগরীর কয়ের দাঁড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে চপল নিজেকে সাংবাদিকসহ রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের ভুয়া সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতে থাকেন।

রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের মডেল প্রেসক্লাবে প্রথমে চপলসহ আরো তিনজন সদস্পদয লাভ করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক অভিযোগ উঠায় রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব উপর ভদ্রা কার্যালয় থেকে তাদের অব্যহতি দেওয়া হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী সহ সকল দপ্তরে প্রেসক্লাবের পুর্ন তালিকা দিয়ে জানানো হয় । এই ভুয়া পরিচয় দেওয়ার কারণে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব তাদের নামে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি জিডি করেন যাহার জিডি নং -১০০৪, (২৫মে)২০২১ । জিডির সাথে প্রশাসনের স্বরানাপন্ন হন মডেল প্রেসক্লাব। এর পরেও চপল ও বহিস্কার হওয়া সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মডেল প্রেসক্লাবের পরিচয় দিতে থাকেন।

রাজশাহী নগর পুলিশের একজন উদ্ধর্তন কর্মকর্তা বলেন, এদের মডেল প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেওয়ার পরে এদের উপর নজরদারি চলছে মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে অনেকের নামে। যারা প্রকৃত সাংবাদিক তাদের কেউ এই চপলের সাথে নেই। একজনের নামে চারঘাট নওগাঁ নাটোর সহ ৪টি মামলা রয়েছে। তিনিও চপলের সাথের ভুয়া গ্রুপের সদস্য।সুত্র: সিল্কসিটি নিউজ।

রাজশাহী জেলা পুলিশের সুত্র জানায়, মামলা হয়ার পর থেকেই চপল সহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply