বিচারপতির কেবিনে নারী যাত্রীর কান্ড

বিচারপতির কেবিনে নারী যাত্রীর কান্ড

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বিচারপতির জন্য বরাদ্দকৃত কেবিনে অবৈধভাবে একজন নারী যাত্রীকে থাকার জায়গা করে দেন একজন স্টুয়ার্ড। ওই নারী যাত্রী ট্রেনটির অপর একটি কোচের কেবিনের যাত্রী ছিলেন।

পথে জয়পুরহাট স্টেশন থেকে ওই বিচারপতি ট্রেনে উঠে দেখেন তার জন্য নির্ধারিত কেবিনটি বন্ধ রয়েছে। এসময় বার বার তাগাদা দেয়ার পর ওই নারী যাত্রী কেবিনের দরজা খুলেন। পরে তাকে বিচারপতির কেবিনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই কেবিনটি তিনি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান এবং দুর্ব্যহার করেন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বিচারপতিকে।

এ ঘটনায় রেলের স্টুয়ার্ড সজিব ও ওই নারী যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার রাত ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে পঞ্চগড় স্টেশন ছেড়ে যায়। পথে ট্রেনটি জয়পুরহাটে পৌঁছায় রাত সোয়া ১টার দিকে। এসময় ওই ট্রেনে উঠেন উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে বিচারপতি দেখেন, তার নির্ধারিত কেবিনটি বন্ধ রয়েছে। এসময় বার বার তাগাদা দেয়ার পর ওই কেবিন থেকে একজন নারী যাত্রী বের হন। পরে বিচারপতির জন্য নির্ধারিত কেবিনটি তাকে ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই নারী যাত্রী কেবিনটি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান এবং দুর্ব্যহার করেন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন বিচারপতি। এ ঘটনায় রেলের স্টুয়ার্ড সজিব ও ওই নারী যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে ট্রেনের ওয়ার্কিং গার্ড সবুর খাঁন ও কণ্টাক্টর গার্ড রফিকুল ইসলাম জানান, ওই নারী যাত্রী দিনাজপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেন। পরে তিনি বিচারপতির জন্য নির্ধারিত কেবিনে গিয়ে অবস্থান করেন। এরপর জয়পুরহাট স্টেশন থেকে উঠেন বিচারপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে বিচারপতির জন্য নির্ধারিত কেবিনটি ওই নারী যাত্রীকে ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই নারী কেবিনটি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান এবং দুর্ব্যহার করেন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বিচারপতিকে। পরে বিচারপতির সাথে থাকা জয়পুরহাট সদর থানার প্রটোকল পুলিশ রেলের স্টুয়ার্ড সজিব ও ওই নারী যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি রেলের স্টুয়ার্ড ও ওই নারী যাত্রীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দায়ের না করায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে একাধিক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রী সেবার মান যে কত নিচে নেমেছে এ ঘটনা তার প্রমাণ। তারা বলেন, সংশ্লিষ্টদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এসি কেবিনে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একাধিক সূত্র জানায়, মূলত কর্তব্যে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে দায় এড়াতে পারে না।

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার এএমএম শাহ নেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় রেলওয়ের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শহীদুল ইসলাম জানান, ঠিক কী ঘটেছিল তা আমি জানি না। তবে তিনি দাবি করেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যার কারণে রেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম ১৮ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply