শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে ৪০০ টাকায় মেলে ‘ফিটনেস সনদ!

রাজশাহীতে ৪০০ টাকায় মেলে ‘ফিটনেস সনদ!

রাজশাহীতে ৪০০ টাকায় মেলে ‘ফিটনেস সনদ!
রাজশাহীতে ৪০০ টাকায় মেলে ‘ফিটনেস সনদ!

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীতে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ফিটনেস সনদ (স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ)। কেনা এ সনদ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বিআরটিএর কর্মচারীরা এ জাল সনদ কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ সনদে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ওই নামে কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন না।

নগরের নওদাপাড়া আমচত্বর এলাকায় বিআরটিএর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় অবস্থিত। এই কার্যালয়ের সামনে দিয়ে রাজশাহী নগর বাইপাস সড়ক চলে গেছে। সড়কের উত্তর পাশেই এক সারি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। এই দোকান থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ কিনতে পাওয়া যায়।

সম্প্রতি সেসব দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকাশ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ নিয়ে দোকানের লোকজন কথা বলছেন। একজন গ্রাহক বলেন, তিনি নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার একজন চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এর সনদ বিআরটিএ কার্যালয়ে জমা দিতে গিয়েছিলেন। বিআরটিএর একজন কর্মচারী তাঁকে ওই সময় পরামর্শ দেন, এভাবে জমা দিলে হবে না। তার চেয়ে দোকানে গিয়ে টাকা দিলে ওরা তৈরি করে দেবে। তাহলে আর কোনো ঝামেলা থাকবে না। তিনি ওই কর্মচারীর কথামতো দোকানে এসে একটি সনদ কিনে জমা দেন।

বিজ্ঞাপন
বিআরটিএর একজন কর্মচারী তাঁকে পরামর্শ দেন,দোকানে গিয়ে টাকা দিলে ওরা তৈরি করে দেবে। তাহলে আর কোনো ঝামেলা থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক
দোকানের লোকজন ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি দোকানের ভেতরে একজন দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ করছেন। তিনি বলেন, ৪০০ টাকা দিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণসহ সব করে দেওয়া হয়। গ্রাহককে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। আর ১৩০ টাকা দিলে গ্রাহকের নিজের ফরম পূরণ করে নিয়ে আসতে হয়। সেখানে শুধু চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে দেওয়া হয়।

দোকানে বিক্রি হওয়া সনদে যে চিকিৎসকের স্বাক্ষর রয়েছে, তাঁর নাম মেহেদী হাসান রাসেল। পদবির জায়গায় লেখা রয়েছে এমবিবিএস, সিসিডি (বারডেম), পিজিটি (এমইডি), মেডিকেল স্পেশালিস্ট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে এই নামে কোনো চিকিৎসক নেই। আর যেভাবে মেডিকেল স্পেশালিস্টের ডিগ্রি লেখা হয়েছে, বাস্তবে এভাবে লেখা হয় না।

এ ব্যাপারে বিআরটিএর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল খালেক মুঠোফোনে বলেন, দুই বান্ডিল আবেদনপত্র যাচাই করে এই চিকিৎসকের নামে সই করা দুটি আবেদনপত্র তিনি পেয়েছেন। এগুলোতে এখনো তাঁর সই হয়নি। এই আবেদনগুলো গত ১৫ ডিসেম্বরের পর জমা হয়েছে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, যিনি গাড়ি চালাবেন, তাঁর সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক। সনদ বিক্রি এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। একজন মেডিকেল অফিসার অথবা তাঁর কার্যালয়ে এলে ৫০ টাকা চালান জমা দিলে এ সনদ করে দেওয়া হয়। কাউকে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply