হত্যার পর মাটিচাপা, দু-বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার

হত্যার পর মাটিচাপা, দু-বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার

হত্যার পর মাটিচাপা, দু-বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার
হত্যার পর মাটিচাপা, দু-বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুরে মাদক মামলার তদন্তে গিয়ে খোঁজ মিলল দু-বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির দেহাবশেষ।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর নান্দন কড্ডা এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তি হলেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার পলাশতলা গ্রামের নুরু বক্তার ছেলে মো. মিনারুল।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মালেখ খসরু জানান, গত শনিবার (২২ অক্টোবর) ২ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ ৯টি মাদক মামলার আসামি মো. আলমকে গ্রেফতার করে বাসন থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আলম জানান, ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোল্লাবাড়ির জনৈক হালিমের বাড়ির ভাড়া করা রুমে মাদক কারবারের টাকার ভাগাভাগি ও পূর্বের একটা হত্যা মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে মিনারুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমসহ ৪-৫ জন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মিনারুলকে হত্যা করে। পরে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিনারুল।

মো. মালেখ খসরু আরও বলেন, মিনারুল নিখোঁজের ১০ দিন পর (৯ জানুয়ারি ২০২১) তার স্ত্রী মৌসুমী কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং র‍্যাবের কাছেও একটি অভিযোগ দেন। তবে সে সময় কেউ নিখোঁজের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি। গত শনিবার (২২ অক্টোবর) ইয়াবাসহ আলম নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মিনারুলকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।

সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্করসহ পুলিশের একটি দল আসামি আলমের দেখানো স্থান থেকে মিনারুলের দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

ওসি মালেক খসরু জানান, মিনারুলও মাদক কারবারি ছিলেন। তার নামে ৬-৭টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply