ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। অপেক্ষা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইটা কতক্ষণ চালাতে পারে সেটি দেখার। শেষমেশ যা হলো তাতে অসহায় আত্মসমর্পণই বলা চলে। মেলবোর্ন টেস্টের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ইনিংস ও ১৮২ রানে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে নতুন ইতিহাস গড়ল অজি বাহিনী। ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের সবশেষ সিরিজ জয় ছিল সেই ২০০৫-০৬ মৌসুমে। এরপর তিন দফা সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার নিজেদের ভাগ্য বদলালেন কামিন্স-ওয়ার্নাররা।
অজি তরুণ পেসার ক্যামেরন গ্রিনের তোপে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৮৯ রানে। এরপর তাদের সামনে ৫৭৫ রানের পাহাড় দাঁড় করায় ওয়ার্নার-ক্যারিরা। নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান ওয়ার্নার। ১৬টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ২৫৫ বলে ২০০ রান করেন তিনি। ওয়ার্নারের পর সেঞ্চুরির দেখা পান অ্যালেক্স ক্যারি। ১৪৯ বলে ১১১ রান করেন এ ব্যাটার। বাকিদের মধ্যে স্টিভ স্মিথ ৮৫, হেড ৫১ ও গ্রিন ৫১ রান করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষে ১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারল কেবল আরও ১৮৯ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এরভিয়া ও টিয়ারিস ডে ব্রেইন অবশ্য শুরুতে একটু প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
কয়েক দফায় ব্যাটের কানায় বল লাগলেও কোনোরকমে তারা কাটিয়ে দেন প্রায় ঘণ্টাখানেক। এরপরই চোটাক্রান্ত আঙুল নিয়ে মিচেল স্টার্কের আঘাত। তার ইয়র্কারে ২১ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান এরভিয়া। এরপর ডে ব্রেইনের উইকেট আসতেও সময় লাগেনি।
ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। তবে লায়নকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ১৪৪ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউটের পর প্রোটিয়া বাহিনী দ্বিতীয় ইনিংসে গুঁড়িয়ে গেল ২০৪ রানে।
প্রথম ইনিংসে ফাইফার পাওয়া গ্রিন চোটের কারণে বোলিংই করতে পারলেন না। মিচেল স্টার্ককে বল করতে হয় আঙুলে যন্ত্রণা নিয়ে। তবুও নিবেদনে কোনো ঘাটতি ছিল না অজি বোলারদের। ফলাফলও পেল হাতেনাতে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচ জিতে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করেই ফেলল। দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে জিততেই হবে পরের টেস্টে। সিডনিতে সেই টেস্ট শুরু আগামী বুধবার (০৪ জানুয়ারি)।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.