ধর্ষনের চেষ্টায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কারাগারে

ধর্ষনের চেষ্টায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কারাগারে

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই শহিদুল্লাহ্ বালিকা ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও হোমিও প্যাথিক গ্রাম্য ডাক্টার আব্দুল হান্নান (৫০) এর বিরুদ্ধে উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাংলাপাড়া গ্রামের তাছির মিয়ার স্ত্রী কুলছুম বেগম ৪ সন্তানের জননীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

আব্দুল হান্নান একই ইউনিয়নের মৃতঃ আব্দুল সামাদের ছেলে। তিনিও দুই কণ্যা এক পুত্র সন্তানের জনক। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও কুলছুমের পরিবার সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো লম্পট হান্নান। গত ৩০ জুন রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক সারে ১১টার সময় সুযোগ বুঝে সবার অজান্তে ওই গৃহবঁধুকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় শোয়ার চেষ্টা করলে কুলছুম আত্মচিৎকার করলে তাৎক্ষনিক কুলছুমের বাড়ির লোকজন যৌন হয়রানী ও ধর্ষণ চেষ্টাকারী হান্নানকে হাতে-নাতে ধরে আটক করে শোয়র খাটের সাথে দঁড়ি দিয়ে সারা রাত বেঁধে রাখে।

পরের দিন ১জুলাই সোমবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এসব কথা বলেন পূর্বছাতনাই ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী। অভিযুক্ত হান্নান এর পূর্বেও এ ধরনের ডিমলা সহ এলাকার একাধীক নারীর সাথে যৌন হয়রানী করার অভিযোগে অত্র ইউনিয়নের চেয়াম্যান, ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য বক্তিবর্গর মাধ্যমে গ্রাম্য সালিশ, বৈঠক ও অর্থদন্ড এবং মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, এর পূর্বে কয়েকবার হান্নান যৌন হয়রানীর কান্ড ঘটিয়েছিল তা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। আবারও একই ঘটনা ঘটিয়েছে তাই এবার তার বিচার করা সম্ভব না। যৌন হয়রানীর দায়ে লম্পট হান্নানকে চেয়ারম্যান মেম্বার, গ্রামপুলিশ সহ এলাকার গন্যমান্যগন থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।

পরে গৃহবঁধু কুলছুম নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানী করার দায়ে লম্পট হান্নানের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুলছুম বেগম নিজে বাদী হয়ে আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানী করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(৪) (খ) ধারায় মামলা নং-২, দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালত শোপর্দ করা হয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম-০৩ জুলাই  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply