মতিহার বার্তা ডেস্ক : শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও আশার আলো দেখছেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ফিরোজ সরদার। হাত হারিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। আগামীর দিনগুলো নিয়ে ছিলেন চরম অন্ধকারে। কিন্তু কালো মেঘ কাটতে শুরু করেছে। অসহায়ত্বের ঠিক এ মূহূর্তে ফিরোজের পাশে দাঁড়িয়েছে মধুমতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি তার চাকরির ব্যবস্থা করছে। কোরবানির ঈদের পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমান জানান, ১৫ জুলাই ফিরোজকে নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে ‘প্রাইমারি স্কুলে চাকরি চান হাত হারানো ফিরোজ সরদার’ শিরোনামে একটি মানবিক আবেদন সংবলিত সচিত্র প্রতিবেদন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর কয়েক দিন পর ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরের রেফারেন্স দিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ফিরোজকে তাদের ব্যাংকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ফিরোজের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দিগ্রাম পৌরসভার নামোইট মহল্লায়। ২৮ জুন সকালে তিনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য রাজশাহী থেকে বগুড়ায় যান। বিকালে বগুড়া থেকে ফেরার সময় রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি এলাকায় বিপরীত দিকের একটি ট্রাকের চাপায় তার ডান হাতটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মধুমতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চাকরির প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে ফিরোজ যুগান্তরকে বলেন, অধ্যক্ষ স্যার কয়েক দিন আগে ফোন করে মধুমতি ব্যাংকে সিভি জমা দেয়ার জন্য বলেন। ইতিমধ্যে ব্যাংকে সিভি পাঠিয়েছি। ব্যাংকটির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা আমাকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন। মধুমতি ব্যাংক আমাকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
দুর্ঘটনায় হাত হারানোর পরদিন কাটাখালি থানায় মামলা করেন তার বাবা মাহফুজুর রহমান। এরই মধ্যে ‘মোহাম্মদ পরিবহন’ নামের বাসের চালক ফারুক হোসেন সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকচালক ওয়াহিদুজ্জামান এখনও পলাতক।
মতিহার বার্তা ডট কম ০৩ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.