নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ঈদের অগ্রিম টিকিট স্টেশনের বুকিং সহকারীর পকেট থেকে উদ্ধার করলো যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে কাউন্টার নং ১,৩ ও ৪ এ দায়িত্বে থাকা জাহিদ ও মিসকাত’র পকেট থেকে এসি নন এসিসহ মোট ২৬ টি টিকিট উদ্ধার করে পুলিশ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে টিকেট কালোবাজারীদেরর সাথে জড়িত এমন কয়েকজনকে রাজশাহী রেল ষ্টেশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, এটি দেখতে পেয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও স্থানীয় পুলিশ উক্ত কাউন্টারে গিয়ে পকেট থেকে টিকিট বের করতে বললে তারা টিকিট বের করে দিতে বাধ্য হন।
বিষয়টি স্টেশন ম্যানেজার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দূর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিদিন বহুসংখ্যক টিকেট কাউন্টারের ভেতর থেকেই চোরাকারবারিদের হাতে চলে যাচ্ছে চড়া দামে। ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দারিও বঞ্চিত হচ্ছেন টিকেট প্রত্যাশিত যাত্রীরা।
একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জানা গেছে, কাউন্টার থেকে রাজশাহী-ঢাকা ধুমকেতু, সিল্কসিটি ও পদ্মা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, কিছু সংখ্যক অর্থ লোভি বুকিং সহকারীরা।
যেমন প্রস্তাবিত ভাড়া শোভন চেয়ার ৩৪০ টাকা, নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার ভাড়া ৬৫৬ টাকা, নেয়া হচ্ছে ৮৫০ টাকা, কেবিন ৭৮২ টাকা, নেয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা, বার্থ ১২২৩ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ২ হাজার টাকা।
অনুরুপ বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনেও করা হচ্ছে সেম ঘটনা।শেষে যাত্রীরা কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে নিরুপায় হয়ে কালোবাজারীদেরর কাছে থেকে ক্রয় করছেন ৩৪০ টাকার টিকিট ১ হাজার টাকায়, ৬৫৬ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা, ৭৮২ টাকার টিকিট ২ হাজার টাকা এবং ১২০০ টাকার টিকিট ৩ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন ম্যানেজান (এসএম) আব্দুল করিমের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
মতিহার বার্তা ডট কম – ০৯ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.