নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর বড়াইগ্রামে মাইক্রোবাসের সাথে পুলিশের পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এসময় সার্কেল এসপি, তার বডিগার্ড ও চালকসহ আহত হয়েছেন আরো ৪ জন । পরে খবর পেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত সকলের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছেন।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত চালক শাজাহান আলী (৩২) মুন্সিগঞ্জ কাচারিঘাট এলাকার মৃত ইমান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৭টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বনপাড়া মহিষভাঙ্গা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন অর রশিদ পুলিশের পিকআপে করে হাইওয়ে তদারকির কাজ করছিলেন।
পিকআপটি বড়াইগ্রামের দিক থেকে বনপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে খালি মাইক্রোবাস নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ফিরছিলেন শাজাহান আলী।
এসময় দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাস চালক শাজাহান আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর পুলিশের পিকআপে থাকা সার্কেল এএসপি হারুন অর রশিদ, বডিগার্ড ইব্রাহিম হোসেন, চালক মোবারক আলী গুতর আহত হন।
আহতদের বনপাড়া আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অবস্থার অবনিত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ের থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাস ও পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এএসপি (সার্কেল) হারুন অর রশিদ মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তবে আহত সকলের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, এএসপির গাড়ি চালক মোবারক হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আমরা রাজশাহী রামেক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মতিহার বার্তা ডট কম ১৪ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.