শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
এক এমপিওভুক্ত শিক্ষকের চার প্রতিষ্ঠানে চাকরি!

এক এমপিওভুক্ত শিক্ষকের চার প্রতিষ্ঠানে চাকরি!

মতিহার বার্তা ডেস্ক: একসাথে চারটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন মুহাম্মদ আনোয়ার কবীর। বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জামালপুরের ইসলামপুর জে জে কে এইচ গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে এমপিও ভোগ করছেন তিনি। এক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান নিরীক্ষকও হয়েছেন তিনি।

কিন্তু দুদকে আসা একটি অভিযোগের জের ধরে ফেঁসে গেছেন শিক্ষক আনোয়ার। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আসা একসাথে চারটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে এমপিও ভোগের সত্যতা পেয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। তাই, তার এমপিও বাতিল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

জানা গেছে, গত জুন মাসে জামালপুর থেকে ইসলামপুর জে জে কে এইচ গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ আনোয়ার কবীরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষক আনোয়ার একই সাথে চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।

নিয়ম ভেঙে জামালপুরের ইসলামপুর জে জে কে এইচ গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে এমপিও ভোগ করলেও ইসলামপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান, ডেবরাইপেচ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং পপুলার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১৭ জুন তা তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলে দুদক। সে প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালককে অভিযোগটি তদন্ত করতে বলা হয়। গত ১৮ জুলাই অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এ পাঠিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

কারিগরি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইসলামপুর জে জে কে এইচ গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন মুহাম্মদ আনোয়ার কবীর। তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষক আনোয়ার কবীর ইসলামপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান, ডেবরাইপেচ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং পপুলার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এমনকি ডেবরাইপেচ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একাধিক পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক আনোয়ার কবীরের এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। সে প্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী শিক্ষক আনোয়ারুল কবীরকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ নোটিশে, একই সাথে চার প্রতিষ্ঠানের চাকরি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন তার এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে না তার কারণ লিখিতভাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে তাকে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৯  আগস্ট ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply