শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
শোক দিবস পালনে সরকারি বরাদ্দের টাকা পায়নি ১১০ স্কুল

শোক দিবস পালনে সরকারি বরাদ্দের টাকা পায়নি ১১০ স্কুল

মতিহার বার্তা ডেস্ক: রাজশাহীর সময় ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে সিলেটের ওসমানীনগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি বরাদ্দের টাকা পায়নি।জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে নিজ খরচে দিবস পালনের পর বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে।

অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন- জাতীয় শোক দিবস পালনের আগেই টাকাগুলো বিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য তারা অনেক আগেই টাকা ছাড় দিয়েছেন।জানা যায়, বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক

দিবস পালন করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে যথাযথভাবে দিবসটি পালন করতে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শন,

আলোচনা সভা, দোয়া মাহিফল এবং দিবসটির সাথে সংগতিপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার প্রদানের নির্দেশ ছিল প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।কিন্তু রোববার (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের টাকা পায়নি ওসমানীনগরের ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অথচ

টাকাগুলো যথাসময়ে পাওয়ার জন্য গত ৫ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছার কথা ছিল। সময়মতো টাকা হাতে না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে নিজ খরচে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়েছে। এ জন্য কোথাও কোথাও দায়সারাভাবে দিবসটি পালনের

অভিযোগও শোনা গেছে।কাগজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রায় এবং গজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন টাকা না পাওয়ার কথা স্বীকার করে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা নিজ খরচে অনুষ্ঠান করেছি। জেনেছি ২ হাজার টাকা করে এসেছে এবং সেগুলো পরে পাবো।একইভাবে টাকা না পাওয়ার কথা জানান গোয়ালাবাজার, ফকিরাবাদ ও মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়েছ আহমদ চৌধুরী, কুমার দাশ ও দিলিপ কুমার ধর।এ

ব্যাপারে মোবাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিপালী রাণী রায় দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকরা নিজ খরচে অনুষ্ঠান পালন করে বিল ভাউচার জমা দেয়ার পর বরাদ্দের টাকা প্রদান করা হবে। সরকারি বরাদ্দের টাকা বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আসার কথা কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করবেন শিক্ষকরা। তবে ওসমানীনগর উপজেলার টাকার বিষয়টি জেনে

জানাচ্ছি।প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট বিভাগের উপপরিচালক একেএম সাফায়েত আলম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ওসমানীনগর সম্প্রতি পৃথক হয়েছে। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্যই টাকাগুলো বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তাই শোকদিবস পালনের পূর্বেই বিদ্যালয়ে পৌঁছার কথা। এ জন্য আমরা অনেক আগেই বরাদ্দের টাকা ছাড় দিয়েছি। হয়তো কিছু কিছু এলাকায় এর ব্যত্যয় ঘটেছে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৯  আগস্ট ২০১৯

 

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply