শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট” আড্ডা স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের

রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট” আড্ডা স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের

মতিহার বার্তা ডেস্ক: রাজশাহীতে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধ হয়নি আড্ডা। তবে চিত্রটা ভিন্ন। পদ্মাপাড়, পদ্মা গার্ডেন, পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে তেমন দেখা মিলছে না শিক্ষার্থীদের। এখন শিক্ষার্থীদের বেশি সময় কাটছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। শিক্ষার্থীদের ধারনা আড্ডা দেওয়ার নিরাপদ স্থান রেস্টুরেন্ট। তাই ক্লাস ফাঁকির বেশি সময় কাটছে রেস্টুরেন্ট নামের এই ছাদের নিচে। গল্প, আড্ডা আর ফাস্টফুডের টেবিলে সময় কাটছে বেশিভাগ শিক্ষার্থীর। তাই শিক্ষার্থীদের আগের মত দেখা মিলছে না বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময়ে পদ্মাপাড়, পদ্মা গার্ডেন, পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে না, এটা ভালো দিক। তবে ভিন্ন কায়দা অবলম্বল করাটা মোটেও সুখকর নয়।

শিক্ষার্থীদের এখন কাজ পড়া-শোন ছাড়া কিছু না। পড়া-শোনার পাশা-পাশি বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে তাবে এমন বিনোদন নয়। যে রেস্টুরেন্টে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে সময় কাটাতে হবে তাদের। এবিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ব্যবস্থাগ্রহণে এনিয়ে আসতে হবে।

সরেজমিনে গিয়ে রাজশাহীর নিউ মার্কেট এলাকায় ওমর থিম প্লাজায় গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। প্লজার সপ্তম তলায় সাত থেকে আটটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে রাজশাহীর বেশ কিছু স্বনামধন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই বেশি। শিক্ষার্থীরা এখনে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পড়েই আসে। তাতে বোঝা যায় তারা কে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তারা নিরিবিলি পরিবেশে বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা এখানে ফাস্টফুডের আইটেমের খাবারগুলো খেতে আসে। এখনে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেখালেও ডিসকাউন্ট রয়েছে কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে। তাই শিক্ষার্থীদের বেশি চাপ এসব রেস্টুরেন্টগুলোতে।

শিক্ষার্থীরা মনে করছে, পদ্মাপাড়, পদ্মা গার্ডেন, পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে গেলে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সেই সময় তাদের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানানো হচ্ছে। অনেক সময় মুচলেখাও নেওয়া হচ্ছে। এতে করে তাদের লজ্জা লাগে। তাই এ সকল সমস্যায় না পড়তে শিক্ষার্থীরা আসছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। সেখানে দেখাও কেউ নেই।

রাজশাহী নিউ গভ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জার্সিস কাদির বলেন, এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অভিভাবকদের ভূমিকা জরুরি। শিক্ষকদের হাজিরা খাতা দেখে চিহ্নত করতে হবে কোন কোন শিক্ষার্থী নেই ক্লাসে। আবার আসার পরে কোন শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সে সকল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে অভিভাকদের জানাতে হবে। আর ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বলে দিতে হবে এমন ঘটনা ঘটলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখা হবে না তাকে। পাশা-পাশি স্থানীয় প্রশাসনকে এবিষয়ে নজর দিতে হবে। সিল্কসিটি।

মতিহার বার্তা ডট কম ২৮   আগস্ট ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply