মতিহার বার্তা ডেস্ক: কুষ্টিয়ার জগতি এলাকায় শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের বিচার না পেয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলেছে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ফাহিমা নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাহিমা ওই এলাকার ফারুক খানের মেয়ে এবং বাড়াদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা তার বোনের ছেলের জন্য দুধ আনতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যায়। এসময় একই এলাকার বদর শাহের ছেলে সুজ্জল তার গায়ে হাত দেয় এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। বিষয়টি বাড়িতে ফিরে আত্মীয়-স্বজনকে জানিয়ে ফাহিমা স্কুলে চলে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বিচারের দাবিতে ওই অভিযুক্তের বাড়িতে যান। সেখানে স্কুল থেকে ফাহিমাকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। সেসময় উল্টো ফাতিমাকে দোষারোপ করলে বিচারের নামে প্রকাশ্যে এমন অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে ফাহিমা আত্মহত্যা করেন।
ফাহিমার বাবা জানান, “প্রায়ই সুজ্জল রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। মান-সন্মানের দিকে তাকিয়ে আমরা সব সহ্য করেছি।” এসময় অভিযুক্ত সুজ্জলের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবিদ হোসেন জানান, মেয়ের বাবার কাছ থেকে এমন অভিযোগ শুনেছি। আত্মহত্যার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৮ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.