শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
নিজেদের সংখ্যালঘু বলবেন না’- হিন্দুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

নিজেদের সংখ্যালঘু বলবেন না’- হিন্দুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

মতিহার বার্তা ডেস্ক: বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে হিন্দুধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে বলবো নিজেদের সংখ্যালঘু না বলার জন্য। এই মাটি আপনাদের, এই দেশ আপনাদের, এই জন্মভূমি আপনাদের। কেন নিজেদের মধ্যে এই বিশ্বাস থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে কখনও আমরা ওই রকম ব্যবধান করে দেখি না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সবাই উপযুক্ত হলে সমান সুযোগ পাবে। সেটা আমরা নিশ্চিত করি। এদেশে সবার সমান অধিকার রয়েছে।

 শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করি যার যার ধর্ম সে পালন করবে। ইসলাম ধর্মও সে শিক্ষা দেয়। আমরা মনে করি সব ধর্মেই একথা বলা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা ধর্মই শান্তির বাণী শুনিয়েছে। শ্রী কৃষ্ণ যে জন্ম নিয়েছিলেন তার মতোই তো মানব কল্যাণে। সেখানে তো বলা নেই যে শুধু হিন্দুদের কল্যাণ কর। আর কারও কল্যাণ করো না সে কথা তো বলেনি। মানবকল্যাণ, মানুষের জন্য কাজ করা।

শেখ হাসিনা বলেন, দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন, সেটা কি ভাগ করে বলা হয়েছে। শুধু হিন্দু শিষ্ট হলে তাকে দেখবে তা তো বলেনি। যারা শিষ্ট তাদের পালন করা যারা দুষ্টু তাদের দমন। যখনই কোনো ধর্মীয় শিক্ষাগুরু এসেছেন শান্তির বাণী শুনিয়েছেন।

‘আপনি যদি সব ধর্মের বাণীগুলো ভালোভাবে মনযোগ দিয়ে দেখেন সব ধর্মই শান্তির কথা বলেছে, মানব কল্যাণের কথা বলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় এটাই লক্ষ্য থাকবে আমাদের প্রত্যেকটা ধর্ম আজ যার যার। আমাদের ঈদ বলেন, আপনাদের পূজা বলেন বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা বলেন, অথবা বড় দিন। এখন কিন্তু বাংলাদেশে, পৃথিবীতে বাংলাদেশেই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি এই যে ধর্মীয় একটা পরিবেশ এত সুন্দর আন্তরিক পরিবেশে প্রত্যেকটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমরা মিলে মিশে আমরা উদযাপন করি। এখানে কিন্তু আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে না, সবাই মিলেই সবার অনুষ্ঠানে যাই।

বিএনপি-জামায়াত আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের চরিত্রটাই এরকম। আপনারা ‍জানেন তারা কীভাবে অত্যাচার করে। বিভিন্ন ঘটনার পর… বিভিন্ন মন্দির ভাঙা হয়েছে, কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চরম অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। তখন আমরা ছুটে গিয়েছি সবার কাছে। এমনকী ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছিল। আপনাদের মনে আছে। আমরা সেটা আবার নতুনভাবে করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজই ছিল এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো। আমরা তো আক্রমণের শিকার মুসলমানরা তো আছি। এভাবে সব সময় তারা একটা বিভেদ সৃষ্টি করা এই প্রচেষ্টা তারা নিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনও এতে বিশ্বাস করে না।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply