শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

মতিহার বার্তা ডেস্ক: যশোরের শার্শায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও পুলিশের সোর্সের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ ওই নারীর স্বামীকে গ্রেফতারের পর সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৫০ হাজার টাকার দাবিতে বাড়িতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

 পরে ওই গৃহবধূর অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তের লক্ষ্যে পুলিশ প্রেরণের পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শার্শার চটকাপোতা গ্রামের কামরুল ইসলাম, লক্ষ্মণপুর গ্রামের ওমর আলী (৫০) ও আবদুল লতিফ (৫০)।

অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম খায়রুল আলম। তিনি শার্শা থানার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন। খায়রুলের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায়। তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামী একসময় চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতেন। তবে এখন কৃষিকাজ করেন। নয় দিন আগে এসআই খায়রুল বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। পরে এসআই খাইরুল তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ওই নারীর স্বামীর কাছে ৫০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে বলে আদালতে চালান করে দেওয়া হয়। থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানালেও কেউ তাঁর কথা শোনেনি বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

ওই নারীর অভিযোগ, ‘সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এসআই খায়রুল, তাঁর সোর্স কামরুল ও গ্রামের আরও তিন থেকে চারজন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করেন। এত রাতে দরজা খুলতে না চাইলে তাঁরা আমার স্বামীর নামে মামলা দেবেন বলে হুমকি দেন। তখন আমি দরজা খুলে দিই। এ সময় খায়রুল আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে ৫৪ ধারায় মামলা করার হুমকি দেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ও কামরুল দুজন মিলে আমাকে ধর্ষণ করেন।’

ওই নারী আরও বলেন, ‘তাঁরা (এসআই খায়রুলসহ অন্যরা) চলে যাওয়ার পর ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানাই। প্রতিবেশীরা আমাকে মামলার পরামর্শ দেন। মামলা করতে হলে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে। এ কারণে আমি থানায় না গিয়ে সোজা যশোর জেনারেল হাসপাতালে যাই।’

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী জরুরি বিভাগে আসেন। অভিযোগ শুনে তাঁকে জানাই যে এ ধরনের পরীক্ষা পুলিশের মাধ্যমে না এলে করা যায় না। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিনুজ্জামান ওই নারীকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে যান।’

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, ওই নারী তিনজনের নাম উল্লেখসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পুলিশ সদস্য বলে তদন্তে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সময়ের কন্ঠ

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply