শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ভারতের গঙ্গায় রাজশাহীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কালামের লাশ

ভারতের গঙ্গায় রাজশাহীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কালামের লাশ

মতিহার বার্তা ডেস্ক : রাজশাহীতে পুলিশের খাতায় নাম থাকা ও ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত কোটিপতি কালাম মোল্লার ভাসমান মরদেহ পাওয়া গেছে ভারতের গঙ্গা নদীতে।

মঙ্গলবার ভারতের জলঙ্গী থানার টুলটুলিপাড়া এলাকার গঙ্গা থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি, কালাম মোল্লা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন চোরাচালানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে। তার নামে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের লালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার টঙ্গী থানায় রয়েছে মাদকসহ ছিনতাই ও হত্যার মামলা। পুলিশের তালিকায় রাজশাহীর শীর্ষ মাদক চোলাচালানি ছিলেন কালাম মোল্লা।

নিহত কালাম মোল্লা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ হেলালপুর গ্রামের আকসেদ মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, গত বছরের মে মাসে চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী ফেরার পথে এক লাখ ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ রাজশাহীর মাদককারবারি আসলাম ও চারঘাটের মাসুদ গ্রেফতার হন।

এর পর ওই মাদকের মালিক হিসেবে কালাম মোল্লাকে খুঁজতে থাকেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।

এর পর থেকেই তিনি ভারতে আত্মগোপনে চলে যান। দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে তার দেখা মেলেনি। তবে ভারতে অবস্থান করে এ দেশে যোগাযোগ রেখে মাদকের চোরাচালান চালিয়ে আসছিলেন।

গত শনিবার দুপুরের দিকে ভারতের জলঙ্গী থানা এলাকার খরতলা বিএসএফ ক্যাম্পের পাশ দিয়ে কপুরা নদীপথে ওই দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে রওনা হন কালাম মোল্লা ও তার বন্ধু ভারতীয় নাগরিক চাঁন মিয়া।

এ সময় ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের আটক করার চেষ্টা করলে কালাম মোল্লা ও চাঁন মিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন।

চাঁন মিয়া সাঁতরে উপরে উঠতে সক্ষম হলেও ব্যর্থ হয়ে কালাম মোল্লা তলিয়ে যান নদীর পানিতে। গত তিন দিন থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কালাম মোল্লার ভাই রুস্তম মোল্লা জানান, সোমবার রাতে ভারতের আত্মীয় মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ আনতে পাঠানো হয় আত্মীয়স্বজনদের।

এর পর মঙ্গলবার সেখান থেকে কালাম মোল্লার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন নজরুল ইসলাম, নিকটাত্মীয় মুকুল হোসেন, আরশাদ আলী ও দুলাল হোসেন।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আমরা কালাম মোল্লার মরদেহ দেখে নিশ্চিত হতে পারিনি। এ কারণে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।

মরদেহের ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তার পরই এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে, এটি কালাম মোল্লার মরদেহ কিনা।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মরদেহের শারীরিক গঠন ও কিছু চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে মরদেহটি কালাম মোল্লারই।

মতিহার বার্তা ডট কম  ১১ মেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply