শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
হত্যা মামলার এফআইআর বদলে দেয়ায় পুঠিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

হত্যা মামলার এফআইআর বদলে দেয়ায় পুঠিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

হত্যা মামলার এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগ, রাজশাহী পুঠিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে, বিচারিক বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগে, রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসাথে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

গত (২২ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এজাহার বদলে দিলেন ওসি’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলাটি পুলিশ ভিন্নখাতে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত নুরুলের মেয়ে নিগার সুলতানার অভিযোগ, পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদ মামলার এজাহার বদলে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ওসির বিরুদ্ধে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে মামলাটি বাতিলের জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন। গত (১৮ জুলাই) তিনি এসপির কাছে অভিযোগ করেন। একই দিন রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-২ এ মামলা বাতিলের আবেদন করেন নিগার সুলতানা।

উল্লেখ্য, গত (১১ জুন) পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে পুঠিয়া উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর (১৮ জুন) জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নুরুল ইসলামের সমকামিতার বদঅভ্যাস ছিল। এলাকার এক কিশোরকে তিনি এ কাজে বাধ্য করতেন।
গত (১০ জুন) রাতেও নুরুল ইসলাম ওই কিশোরের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে পড়ে গেলে ওই কিশোর তাকে ইটের আঘাতে হত্যা করে। তাই ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে নিহতের পরিবার বিষয়টিকে বলছে ভিত্তিহীন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত (২৪ এপ্রিল) উপজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নুরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এ নির্বাচনে পুঠিয়া থানার ওসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নুরুলকে পরাজিত করান। ফলে সাধারণ সম্পাদক হন আব্দুর রহমান পটল। এ ফলাফলের বিরুদ্ধে নুরুল ইসলামসহ পরাজিত তিনজন প্রার্থীসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত শ্রমিক ইউনিয়নের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

নুরুল ইসলাম যে রাতে খুন হন সেদিনই আদালতের জারিকারক উপজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে গিয়ে আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তার সঙ্গে নুরুল ইসলামও ছিলেন। তখন আসামিদের সঙ্গে তার বাকবিত-া হয় নুরুল ইসলামের। এরপর রাত সাড়ে ৮টা থেকে নুরুল ইসলামের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে ইটভাটায় নুরুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা নির্বাচনী মামলাটির তিনজন আসামিসহ মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দেন। তখন ওসি সেটি সংশোধন করতে বলেন। নিগার সুলতানা ওসির কথামতো সংশোধন করে ওই পাঁচজনকে সরাসরি আসামি না করে ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে তাদের নাম উল্লেখ করেন। এরপর সেটি ওসিকে দিলে তিনি ‘দেখছি’ বলে নিগারকে বাসায় চলে যেতে বলেন। কিন্তু নিগার সুলতানার একটি এজাহারও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেননি ওসি। নিহতের শ্যালক মাসুদ রানা দাবি করেন, ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ নিগার সুলতানার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছিলেন। সেই কাগজেই পরবর্তীতে মামলার এজাহার করা হয়। এতে কারও নাম নেই। সেই মামলাটিই এখন তদন্ত করছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ মামলাটিতেই এক কিশোরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাদা কাগজে সই নিয়ে এজাহার করা সম্ভব নয়। যে এজাহার হয়েছে সেটা নিহতের পরিবারের সদস্যরাই দিয়ে গেছেন। এজাহার আমরা দেইনি। হত্যা মামলা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ওই মামলার তদন্ত চলছে।

 মতিহার বার্তা ডট কম – ১৬  সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply