শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অচলাবস্থা অব্যাহত

রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অচলাবস্থা অব্যাহত

রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অচলাবস্থা অব্যাহত
রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অচলাবস্থা অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের মধ্যে বিরোধ, কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের পদত্যাগ, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ জুন রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মোট ১০ জন সদস্যের মধ্যে ছয়জনই একযোগে পদত্যাগ করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র দাখিল করেন তারা।

পরে একইদিন পদত্যাগকারী সদস্যগণ বিষয়টি অবগতি ও কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার অনুরোধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।

পদত্যাগকারী সদস্যদের মধ্যে চারজন অভিভাববক সদস্য ও দুইজন শিক্ষক প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন: অভিভাবক সদস্য আশরাফ আলী, মুঞ্জুর মল্লিক, রানা ইসলাম ও মোসা: রেহেনা বেগম এবং শিক্ষক প্রতিনিধি মোসা: জোবাইদা নাহার ও শীলা ঘোষ।

পদত্যাগপত্রে তারা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো: আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো: আব্দুল মান্নানের অসদাচরণ, আত্মঅহমিকা, অর্থ ও ক্ষমতার বড়াই, একক সিদ্ধান্তে কমিটি পরিচালনা, কমিটির অন্য সদস্যদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা না করা, শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, কমিটির সদস্যদের ছাগলের সাথে তুলনা করা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনেকের সাথে ব্যক্তিগত কর্মচারীর মত আচরণ করা।

এছাড়া তার পছন্দের একজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কমিটির মতামত না নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন ও নিয়োগ কমিটি গঠন করেন তিনি। তার এসব কর্মকান্ডে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া, ফলাফল ও পাসের হার নিম্নমুখি।

এ অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা ছয়জনই নীতিগতভাবে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন বলে স্ব-স্ব পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর দেবাশীষ রঞ্জন রায় স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে দ্বিতীয় জেষ্ঠ্য সহকারী শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন, যা বিধিসম্মত হয়নি।

কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অমান্য করে সহকারী প্রধান শিক্ষককে বাদ দিয়ে কিভাবে কণিষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হলো তার ব্যাখ্যা পত্রপ্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে দাখিলের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বলা হয়।

পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর ব্যাখ্যা দিলেও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। সে কারণে বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর দেবাশীষ রঞ্জন রায় স্বাক্ষরিত অপর এক পত্রে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার কথা জানান।

একইসঙ্গে অ্যাডহক কমিটি গঠনের অনুমতি গ্রহণের আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে আরেক পত্রের মাধ্যমে সাদেকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে তাকে আদালতে দায়ের করা মামলা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

অপরদিকে, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) লায়লী বানু স্বাক্ষরিত এক পত্রেও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নানের বিধিবহির্র্ভূত কর্মকান্ডের বিষয়টি তুলে ধরে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে।

বর্তমানে ডা. আব্দুল মান্নান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে না থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রতিষ্ঠানটিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র মতে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান প্রভাব খাটিয়ে পরষ্পর যোগসাজসের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানটির পৃথক দুটি ব্যাংক একাউ- থেকে মোট আট লক্ষ ৩৬ হাজার ৯২৭ টাকা উত্তোলন করেছেন।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। কমিটির রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছি।

আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ডা. আব্দুল মান্নান বর্তমানে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে না থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৯ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply