শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
বাঘায় র‌্যাব ডিজির নির্দেশে রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

বাঘায় র‌্যাব ডিজির নির্দেশে রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

বাঘায় র‌্যাব ডিজির নির্দেশে রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল
বাঘায় র‌্যাব ডিজির নির্দেশে রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আম চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে শামুকখোল অতিথি পাখির দায়িত্ব নিলো র‌্যাব। উল্লেখ্যে ৩০শে অক্টোবর প্রথম আলো পত্রিকায় “পাখিদের উচ্ছেদে ১৫ দিন সময় বাগান মালিকের” শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের ডিজির নির্দেশনা অনুযায়ী র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি, মো. মাহ্ফুজুর রহমান (বিপিএম) বিপদাপন্ন পাখীদের দেখতে যান এবং পরিদর্শন শেষে আম চাষিদের সাথে মতবিনিময় করে এ পাখির সকল দায়িত্ব নেন।

গত চার বছর যাবত হাজার হাজার শামুকখোল পাখি প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে এই গ্রামের ফজলি আম গাছে এসে বাসা বাঁধে ও ডিম পাড়ে। বাচ্চা হলে ওদেরকে উড়তে শেখায় মা-বাবা পাখিরা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এরা এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

আশেপাশের বিলের শামুক এদের প্রধান খাদ্য। তবে এরা আকারে বৃহৎ হওয়ায় আমগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং ইতোমধ্যে কিছু পুরাতন গাছ মারাও গেছে। ফলে গাছের মালিকরা পাখীদের তাড়িয়ে দেয়ার ঘোষনা দেয়।

এ সময়ে অধিনায়ক মো. মাহ্ফুজুর রহমান (বিপিএম) প্রিন্ট মিডিয়া ও টিভি চ্যানেল সংবাদকর্মীদের জানান, ডিজি স্যারের নির্দেশে বাগান মালিকদের সাথে আলোচনা করে ত্রিশের অধিক আম গাছের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয় এবং স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাকে গাছগুলোর কি ভাবে পরিচর্যা করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বন্যপ্রানী সংরক্ষন কর্মকর্তা বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইনের শাস্তিমূলক ধারা সম্পর্কে বাগান মালিক ও স্থানীয়দের ধারনা দেন।

তিনি বলেন, এখন থেকে পাখির অভয়াশ্রম ধরে রাখতে এবং অতিথি পাখি শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অতিথি পাখি নিধনের খবর পেলে তাৎক্ষণিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সঙ্গে উপস্থিত বাঘা থানার (ওসি) ইনর্চাজ নজরুল ইসলামকে সরেজমিনে পাখীদের নিরাপর্ত্তা নিশ্চিত করার জন্যেও নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ দিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি প্রজ্ঞা পারমিতা রায় এর প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজির পেক্ষিতে আমবাগানে থাকা পাখির বাসাগুলো ভাঙা যাবে না মর্মে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই এলাকা কেন অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামিউল আলম। আইনজীবী পারমিতা রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

মতিহার বার্তা ডট কম – ৩১ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply