শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
৫০ বছরের একলা মায়ের জন্য পাত্র চাই!

৫০ বছরের একলা মায়ের জন্য পাত্র চাই!

৫০ বছরের একলা মায়ের জন্য পাত্র চাই!
৫০ বছরের একলা মায়ের জন্য পাত্র চাই!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক বছর আগে, নিজের ছেলের জন্য অনলাইনে পাত্র খুঁজেছিলেন এক মা। তাঁর ছেলে সমকামী, এ নিয়ে কোনও রাখঢাক না করেই, সর্বসমক্ষে সত্যি কথা বলে ছেলের বিয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই ছকভাঙা চেষ্টার কথা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সেই সময়। এবার ফের ছকভাঙার উদাহরণ দেখল নেট দুনিয়া। মায়ের জন্য পাত্রের সন্ধান করে তাক লাগিয়ে দিলেন তরুণী।

সমাজের সরল হিসেব বলে, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলেই তাঁর জন্য পাত্রের সন্ধান শুরু করা যেতে পারে। তার পরে মেয়ে চাকরিবাকরি করতে শুরু করলে তো আর কথাই নেই। তার পরে তার যোগ্য ছেলে খুঁজে বিয়ে দেওয়াই যেন অলিখিত এক নিয়ম। এই নিয়মেই অভ্যস্ত এই সমাজ। কিন্তু এবার হয়েছে একেবারে উলট পুরাণ।

আইনের ছাত্রী আস্থা ভার্মা অনলাইনে পাত্র খুঁজছেন, তাঁর মায়ের জন্য। তিনি চান, আরও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসুন মা। তাই বিভিন্ন ওয়েডিং সাইটে চেষ্টা করার পরে, এবার টুইটারে মায়ের পছন্দ বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “৫০ বছরের এক জন হ্যান্ডসাম, সুপ্রতিষ্ঠিত পুরুষ খুঁজছি মায়ের জন্য। তাঁকে অবশ্যই নিরামিষাশী হতে হবে। মদ্যপান করা চলবে না।” এই পোস্টের সঙ্গেই রয়েছে মা-মেয়ের হাসি মুখের ছবি।

একটা সময় পর্যন্ত বিয়ে ভেঙে গেলে বা স্বামী মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ের কথা আর ভাবতেনই না মহিলারা। তার উপরে সে মহিলার সন্তান থাকলে তো এমনটা আরওই সমস্যার। আর সে সন্তান বড় হয়ে গেলে প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই মানসিকতা বদলেছে এই প্রজন্মের। তাই পিতৃতান্ত্রিক সমাজের গোড়ায় ঘা দিয়েছে তাদের মুক্তচিন্তা। তারই উদাহরণ হয়ে উঠেছে আস্থার এই পোস্ট।

নেটিজেনদের অনেকেই আস্থার এই পোস্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই বয়সের তরুণী মেয়ে যে তাঁর মায়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন, মাকে খুশি দেখতে চাইছেন– এতে সকলেই আশীর্বাদ করেছেন আস্থাকে। অনেকেই পাত্রের সন্ধান জানিয়েছেন। অনেকে আবার কুকথাও বলেছেন।

কিন্তু ভালবাসা ও আশীর্বাদ সে সব কিছু ছাপিয়ে গেছে। ৩১ অক্টোবর পোস্ট হওয়ার পর থেকে টুইটটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজার বার লাইক করা হয়েছে। রিটুইট করা হয়েছে সাড়ে ছ’হাজার বার।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৩ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply