নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনীতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ১৯ নং ওয়ার্ডে প্রধান সমস্যা মাদক। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। বিভিন্ন সড়কের
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিরোইল কলোনী বিশ্বগোড়াউন মোড় ১ নং গলি, হাজরাপুকুর, রেলওয়ে বস্তি, রেলওয়ে কোয়াটারসহ, আসাম কলোনী রবের মোড় পর্যন্ত দুপুরের পর থেকে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। রাতের আধারে গিয়ে দেখা যায় অনেক লোক বিভিন্ন গলির ভেতরে বসে মাদক সেবন করছে। পুলিশকে দেখে তারা পালিয়ে যায়।
অত্র ওয়ার্ড ছাড়াও মাদকের কারবার করে আসছে ১৮ নং ওয়ার্ড আসাম কলোনী এলাকার কুটির ছেলে বাবু, রবের মোড়ের মাবিয়া ও চানের ছেলে হান্নান। এছাড়া চন্দ্রিমা থানার নাকের ডোগা ১২ রাস্তায় মোড়ের পশ্চিমে মিরা তার বোনের স্বামীকে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে দির্ঘদিনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলোনীর এক ব্যবসায়ী বলেন, বিশ্বগোডাউন মোড়ে দুপুরের পর থেকে দেখা যায় মাদকসেবীদের ভিড়। এদের মাদক সরবরাহ করে মানিক ও শুশিল নামের ২ জন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দুপুর হলেই এ এলাকায় মাদক সেবীদেরও আড্ডা বেড়ে যায়। এছাড়া হাজরাপুকুরের মাদক ব্যবসায়ী তেতু প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গীয়ে করছে হেরোইন ও ইয়াবার কারবার।
রেলওয়ে বস্তির আক্কাশ ও নারী মাদক সম্রাজ্ঞী শ্যামলী জেল থেকে বের হয়ে দিন রাত সোমানে করছে ইয়াবা ও হেরোইনের রমরমা ব্যবসা, দেখে মনে হয় লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী তারা। অপর দিকে কলোনীর ৩ নং গলির ময়দা মিলের পাশে দখরকৃত খাস জমিতে ঘড় তৈরি করে হেরোইনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে মানিক ও শুশিল নামের ২ জন ব্যক্তি। জানা গেছে চন্দ্রিমা থানার একজন দালালের বড় ভাই হওয়ার কারনে পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করে।
রেলওয়ে বস্তিতে গড়ে উঠেছে মাদকের আখড়া। কিছুদিন আগে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ শ্যামলী ও আক্কাশকে আটক করলেও জামিনে বের হয়ে পুনরায় গড়ে তুলেছে বস্তিতে মাদকের আখড়া।
কাউন্সিলর যা বললেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, আমার ওয়ার্ডে একমাত্র সমস্যা মাদক। এ সমস্যা আমি একা সমাধান করতে পারব না। পুলিশই পারে মাদক নির্মূল করতে। পুলিশ চেষ্টা করলে একদিনের মধ্যে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারে।
মতিহার বার্তা ডট কম –০৪ এপ্রিল , ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.