শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
৫ বছর ধরে নিজের নামে বিধবা ভাতা তুলছেন মহারাজপুরের মেম্বর

৫ বছর ধরে নিজের নামে বিধবা ভাতা তুলছেন মহারাজপুরের মেম্বর

৫ বছর ধরে নিজের নামে বিধবা ভাতা তুলছেন মহারাজপুরের মেম্বর
৫ বছর ধরে নিজের নামে বিধবা ভাতা তুলছেন মহারাজপুরের মেম্বর

প্রায় ৫ বছর ধরে নিজের নামে বিধবা ভাতা তুলছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের এক নারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। ২০১৬ সাল থেকে সদরের মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য-১ মিলি বেগম এই সুবিধা নিচ্ছেন। তার বিধবা ভাতা বহি নং ৩৯৫৩।

 

এনিয়ে গত ৮ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলি। সরকারী কাজে বাধা এবং মিলি বেগমসহ আরো কয়েকজন ওয়ার্ড সদস্যেদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন চেয়ারম্যান। এরপরই ওই নারী সদস্যের বিধবা ভাতা নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

 

 

তবে বিধবা ভাতা নেয়ার বিষয়টি অকপট স্বীকার করেন ইউপি সদস্য মিলি বেগম। তিনি বলেন, আট বছর আগে তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম হঠাৎই মারা যান। আট বছর এবং আড়াই মাসের দুই শিশুকন্যা রেখে যান। বড় মেয়ে আশিফা খাতুন এখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে আরিফা খাতুন প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

 

স্বামী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারের বাকি সদস্যদের সহায়তায় সংসার চালাতে হয়েছে তাকে। ২০১৬ সালে পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তার অবস্থা বিবেচনায় পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বররা মিলে বিধবা ভাতার এই কার্ড দিয়েছেন।

 

ওই সময় তিনি মানবিক সহায়তা হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন। এলাকার সবাই তার ভাতা নেয়ার বিয়ষটি জানতেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন এটি নেয়া আসলে তার ঠিক হয়নি। এবিষয়ে চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলি বলেন, ওই নারী সদস্যের বিধবা ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি ওই অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

 

জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া ওই অভিযোগের অনুলীপি দেয়া হয়েছে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরাবর। নির্দেশনা পেলেই তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তবে এখনো এমন অভিযোগ হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও আইসিটি ) এবং উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার একেএম তাজকির-উজ-জামান।

 

 

তিনি বলেন, আমরা এই ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ওই নারী সদস্যের এই সুবিধা নেয়ার কোন কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক বলেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply