শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?

ভুতুড়ে রেলস্টেশন!

ভুতুড়ে রেলস্টেশন!

মতিহার বার্তা ডেস্ক: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তবর্তী ঢাকা-সিলেট রুটের ব্রিটিশ আমলের সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। সেখানে নেই কোনো ট্রেন; স্টেশনটি দেখে মনে হয় যেন ভুতুড়ে স্থান! চারদিকে খাঁ খাঁ করছে।

স্টেশনটি বন্ধ থাকায় এলাকার জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া নষ্ট হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকার সম্পদ।

জানা যায়, একসময় আশপাশের শতাধিক গ্রামের মানুষ এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। একমাত্র যোগাযোগমাধ্যমই ছিল সাটিয়াজুরী রেলস্টেশন। সে সুবাদে যাত্রীর পদভারে মুখর থাকত এ স্টেশনটি। দিনভর থাকত কর্মব্যস্ততা।

এলাকাবাসী জানান, ব্রিটিশ আমলে এ রেলস্টেশনটি চালু হয়। সে সময় একাধিক ট্রেন থামত। পরে ধীরে ধীরে এ স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে লোকাল ট্রেনগুলোও থামছে না। এতে এ রেলস্টেশন একটি পরিত্যক্ত রেলস্টেশনে পরিণত হচ্ছে।

তা ছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এখানে স্টেশনমাস্টার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে স্টেশনের সরকারি সম্পত্তি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলস্টেশন বলতে শুধু ব্রিটিশ আমলের সেই পাকা ভবনটিই আছে; তাও আবার পশুপাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অফিস কক্ষের দরজা-জানালাগুলোও ভেঙে গেছে। ভেতরে তাকালে দেখা যায়, অনেক জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান জিনিস।

সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সরকার মো. শহীদ ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাশিম জানান, এ রেলস্টেশনটি একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। ১৯৯৮-৯৯ সালে সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করলে এলাকার মানুষ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
তিনি বলেন, আগে স্টেশনমাস্টার আপ ও ডাউন ট্রেন স্টপিজ দিতেন। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই আবারও সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে এলাকার প্রায় শতাধিক গ্রামের জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ স্টেশন থেকে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মৃৎশিল্পীরা তাদের পণ্যগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন। তা ছাড়া ওই এলাকার কৃষকরা খুব উপকৃত হতেন এ স্টেশনের কারণে।

এলাকাবাসীর দাবি, এ সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনটি চালু করে ট্রেন স্টপিজ দিলে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য পাবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে এখানকার শতাধিক গ্রামের।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৩-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply