এসএম বিশাল: রাজশাহীতে গোটা শহর জুড়ে বেওয়ারিশ কুকুর আর তাদের হিংস্র উপদ্রব বেড়েছে। এইসব কুকুরের সর্বত্র বিচরণে প্রায় সময় আতংকগ্রস্ত থাকতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
অনেক পাগলা কুকুরের উদ্বগজনক হারে এমন বিচরণে দুর্বল হার্টের রোগীদের স্বাভাবিক ও নিরাপদ চলাচল যেন একপ্রকার বিভিষিকাময় হয়ে পড়েছে। উপশহর এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বাসার গলিতে গাড়ি ঢুকতেই একদল কুকুরের আর্তচিৎকার শুরু হয়।
গাড়ির আশপাশে ঘিরে ধরে কুকুরগুলো তাদের স্বরে ডাকতে থাকে। এতে গাড়ির দরজা খুলতেও ভয় পান আব্দুর রহিম ও তার পরিবার। ছোট শিশুরা কুকুরের চিৎকার শুনে ভয়ে কুঁকড়ে যায়।
শুধু আব্দুর রহিমের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা নয়। এভাবে রাত হলেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় কুকুরের আর্তচিৎকার শুরু হয়। রাত ১২টার পর কোনো এলাকার গলি দিয়ে হাঁটতে গেলেই বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। একদল কুকুর ঘিরে ধরে পথচারীকে। অনেককে কামড়েও দেয়। এ কারণে জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে বছরে কয়েক হাজার মানুষকে জলাতঙ্কের চিকিৎসা নিতে হয়।
এখন ভাদ্র মাস কুকুরের প্রজনন মৌসুম, এই সময় কুকুররা আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে, এ অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপদে চলাফেরা ভীষণ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা কুকুরের এই উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। জানা গেছে শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই কুকুরের দৌরাত্ব্যতবুও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ছেনা, এ ব্যাপারে কুকুর নিধন ও কুকুরের কামড়ে অধিক মাত্রাই সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় জলাতঙ্কের টিকার ব্যবস্থা জরুরী ভিক্তিতে করা উচিত বলে অনেক সচেতন নাগরিকই মনে করেন।
মতিহার বার্তা ডট কম – ২৭ আগস্ট, ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.